টুকরো খবর
আগুন থেকে বাঁচল ব্যাঙ্ক
মিছিল করে শহর পরিক্রমায় বইপ্রেমীরা।—নিজস্ব চিত্র
বাসিন্দারা দেখে ফেলায় বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের থেকে রেহাই পেল সমবায় ব্যাঙ্ক। তবে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাঙ্কের অতিথি আবাস। মালদহ জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চাঁচল শাখায় সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার অতিথি আবাসের হোম থিয়েটার চালানোর পর তা বন্ধ না করায় শর্ট সার্কিট হয়ে ওই অগ্নিকাণ্ড বলে দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের চাঁচল শাখার ম্যানেজার অমিয় কর্মকার বলেছেন, “বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু ভোরে ঘটনাটি ঘটায় তেমন কিছু হয়নি। শর্ট সার্কিট হয়েই ঘটনাটি ঘটে।” দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার হোম থিয়েটার চালানো হলেও তা বন্ধ করা হয়নি। রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় তা নজরে আসেনি। টানা হোম থিয়েটার চালু থাকায় সেখান থেকেই শর্ট সার্কিট হয়ে পাশে থাকা খাটে আগুন ধরে যায়। ঘটনাটি মাঝরাতে হলে ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারত। ওই ঘরের পাশেই ব্যাঙ্কের সোলার সিস্টেমের ১০টি বড় ব্যাটারি রাখা ছিল। সেখানে আগুন ছড়ালে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারত। ব্যাঙ্কের সামনেই পানের দোকান রয়েছে সুজিত সাহার। পাশেই চায়ের দোকান মুকুল দাসের। দুই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “হঠাৎ দেখি যে, ব্যাঙ্কের দোতালার ভেন্টিলেটর থেকে আগুন বের হচ্ছে। দমকলকে খবর দিয়ে নিজেরা পিছন দিক দিয়ে উঠে আগুন নেভাতে চেষ্টা করি।”

দুর্নীতির অভিযোগে আন্দোলনে কংগ্রেস
কেন্দ্রের সামাজিক প্রকল্প গুলি রূপায়ণে ব্যর্থতা এবং দুর্ণীতির অভিযোগ করে গ্রাম স্তরে প্রতিবাদে নামছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে কংগ্রেস গ্রামাঞ্চলে আন্দোলনোর মাধ্যমে জনমত তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারী জেলা জুড়ে সবগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান ঘেরাও, তালা ঝোলাও কর্মসূচির ডাক দিয়ে বিক্ষোভ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সোমবার জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় অভিযোগ করেন, “কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ সরকারের ১০০ দিনের কাজ, ইন্দিরা আবাস যোজনা, ইন্দিরা গাঁধী বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, রাজীব জ্যোতির মতো সামাজিক প্রকল্প গুলির কাজে পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের তরফে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। প্রকল্পগুলি থেকে গরিব মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন না।” ১০০ দিনের কাজ বন্ধ সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আঁধার কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকির টাকা ও ভাতা প্রদানের কেন্দ্রীয় উদ্যোগের কাজও এই জেলা পিছিয়ে রয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। বালুরঘাট শহর এবং গ্রামাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে আঁধার কার্ডের কাজ হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনায় জেলায় মাত্র ২০ শতাংশ বিপিএল ভুক্ত মানুষকে যুক্ত করা গিয়েছে। অথচ সমস্ত বিপিএলভুক্ত মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে কর্মসূচির সুবিধা দেওয়ার কথা। জেলা কংগ্রেসের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে ওই সমস্ত সামাজিক প্রকল্পে কাজের কোনও অগ্রগতি নেই। নতুন করে বিপিএল তালিকার কাজও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষকে প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবহিত করে প্রধানদের চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলার ৬৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই ঘেরাওয়ের ডাক দিয়ে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর পরে আগামী ২৮ জানুয়ারি জেলার ৮টি পঞ্চায়েত সমিতি ঘেরাও করা হবে বলে জেলা কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন।

স্কুল ভোটে প্রায় একই চিত্র চাঁচলে
৮টি স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ৭টি স্কুলে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু কোথাও খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল। মালদহের চাঁচল মহকুমায় রবিবারের ঘটনা। ৫টি স্কুলে জয়ী কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। ৩টি স্কুলে জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থীরা। সব কটি স্কুলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে। ক্ষমতার হাতবদলও হয়েছে কয়েকটি স্কুলে। কংগ্রেস ৫টিতে জিতলেও ২টি স্কুলে সমিতির ক্ষমতা হারায়। ক্ষমতা দখলে আনতে পেরেছে ৩টি স্কুলের পরিচালন সমিতির। অপর পক্ষে ৩টি পরিচালন সমিতির ক্ষমতা হারিয়ে ২টি স্কুলের পরিচালন সমিতির দখল নিতে পেরেছে বামেরা। যে আট স্কুলে রবিবার ভোট হয় তার মধ্যে চাঁচলের ৪টি, হরিশ্চন্দ্রপুরের ১টি ও রতুয়ার ৩টি স্কুল রয়েছে। চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী স্কুলে ৬টি আসনেই জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থীরা। এই স্কুলের পরিচালন সমিতি কংগ্রেসের দখলে ছিল। জয়ের ব্যবধান আগের নির্বাচনের তুলনায় কমেছে। চাঁচলের যদুপুর হাই স্কুলে ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস। ওই স্কুলে বামেরা ৪ ও কংগ্রেস ২ আসনে জয়ী হয়। চাঁচলের অনুপনগর ও রনঘাট মডেল হাই স্কুলের পরিচালন সমিতি বামেদের দখলে ছিল। দুটিতেই জয়ী কংগ্রেস। অনুপনগরে কংগ্রেস ৪, বাম পেয়েছে ২ আসন। রনঘাটে ৬টি আসনেই কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের দক্ষিণ ভাকুরিয়া হাই স্কুলে তৃণমূল প্রার্থী দিতে পারেনি। বামেরা ক্ষমতায় থাকলেও ৬টি আসনে জয়ী কংগ্রেস। রতুয়ার সামসি সীতাদেবী গার্লস হাইস্কুলে ৬ আসনে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে কংগ্রেস। মোর্চা হাই স্কুলে ৬টি আসনে জিতে ক্ষমতা ধরে রেখেছে বামেরা। লস্করপুর হাই স্কুলে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও ৫টি বামেরা ও ১টি আসনে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে।

মৃতের তালিকায় বৃদ্ধ, থমকে ভাতা
আদতে জীবিত হলেও তাঁর নাম রয়েছে মৃতের তালিকায়। সেই কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বার্ধক্য ভাতা। তাই সুবিচার পেতে এই বার মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে চোপড়ার বাসিন্দা ঠেটা মাঝি। সোমবার মালবাধিকার কমিশনে ওই অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। ৭০ বছর বয়সী ঠেটার অভিযোগ, তাঁর নাম মৃতের তালিকায় রয়েছে। সে জন্য তিনি বার্ধক্য ভাতা থেকে শুরু করে সব রকম সরকারি সাহায্যও পাচ্চেন না। বিষয়টি নিয়ে বারবার বিভিন্ন দফতরে ছুটলেও কাজ হয়নি। অবশেষে তিনি দ্বারস্থ হন চোপড়ার নাগরিক কমিটির সদস্যদের কাছে। তাঁরা এলাকার বিডিও থেকে চোপড়ার বিধায়ক সকলের নজরে আনেন বিষয়টি। চোপড়ার বিধায়ক হামিদূল রহমান বলেন, “চোপড়ায় এমন অনেক জন রয়েছেন, যাঁরা জীবিত অথচ মৃতের তালিকার নাম থাকার কারণে কোনও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। এলাকার ওই ব্যক্তি মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে শুনেছি।” চোপড়ার নাগরিক কমিটির সদস্যদের দাবি, তাঁরা সাতটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। কমিটির আহ্বায়ক মুস্তাক আলম এ নিয়ে বলেন, “মানবাধিকার কমিশনে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে জনস্বার্থ মামলাও করা হবে।”

রাসমেলা ময়দানে শুরু হল বইমেলা
জেলা বইমেলা শুরু হল কোচবিহারে। সোমবার শহরের রাসমেলা ময়দানে মেলার উদ্বোধন করেন কোচবিহার মণীষী পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রজিৎ রায়। অনুষ্ঠানে কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অসীম সিংহ, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয় বর্মন উপস্থিত ছিলেন। চলবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ৯০টি প্রকাশনী সংস্থা যোগ দিয়েছে। স্টল আছে ১২৫টি। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা। এ বার বইমেলার জন্য ৬০ হাজার টিকিট ছাপার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ছাত্রছাত্রীরা বইমেলায় ঢুকতে পারবে বিনা টিকিটে। উদ্বোধনের আগে পুস্তকপ্রেমীদের মিছিল শহর পরিক্রমা করে। জেলা বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, এ বার প্রবেশ মূল্য তিন টাকা।

হোমে দু’বেলা ভাত দিতে উদ্যোগ
কোচবিহারের শহিদ বন্দনা স্মৃতি আবাসের আবাসিকদের জন্য দুই বেলা ভাতের বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার জেলাশাসক মোহন গাঁধী ওই হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। হোম কর্তৃপক্ষ রাজ্যের সমাজ কল্যাণ দফতরের কাছে ১২ লক্ষ টাকা বকেয়া থাকার কথা প্রশাসনকে জানিয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “বকেয়া দ্রুত পেতে দফতরের অধিকর্তার দফতরে কথা বলেছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.