এবার রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়া নিয়ে সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তথা মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী। সোমবার দুপুরে মালদহ সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার পাল্টাবে কী করে? রায়গঞ্জে তা করতে হবে।” এর পরেই তাঁর হুমকি, “রায়গঞ্জে না হলে হাসপাতাল কল্যাণীতেও করতে দেওয়া হবে না।” কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী দাবি, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্র সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চায় জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁর আক্ষেপ, “এক মাসেও সেই চিঠির উত্তর পাইনি।” কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য মানতে নারাজ রাজ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, “রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল করব না তা বলিনি। সেখানে জমি সমস্যা রয়েছে।” তাঁর যুক্তি, কল্যাণীতে ১২৫ একর জমি রাজ্য সরকারের হাতেই রয়েছে। তাই কল্যাণীতে আগে সে কাজ করতে চায় রাজ্য। পরে রায়গঞ্জে করা হবে। চিঠির ব্যাপারে চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “উনি চিঠির ব্যাপারে কী বলছেন তা বুঝতে পারছি না। কেন্দ্র কী কী সাহায্য করবে সে সব পরিকল্পনা আগেই করা হয়ে থাকে। সেগুলি ধীরে ধীরে কার্যকর হয়। উনি কোন চিঠির কথা বলছেন বুঝতে পারছি না। চিঠি দেখালে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেব।”
রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বাম আমলে জমি অধিগ্রহণ কাজ না হওয়ায় হাসপাতাল তৈরি থমকে রয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতার হাতবদলের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জোর করে জমি নিয়ে হাসপাতাল তৈরির পক্ষে তাঁরা নন। কল্যাণীতে তৈরি পরিকাঠামো থাকায় সেখানেই এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি হবে বলে রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দাবি, “ওই সিদ্ধান্ত জানার পর কেন্দ্র হাসপাতাল তৈরির জন্য রায়গঞ্জে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র দরকার। সেটাও মিলছে না।” তিনি জানান, সরকারি হাসপাতাল তো শিল্প নয়, তাই রাজ্য সরকারের জমি নীতি এ ক্ষেত্রে খাটে না। তাঁর যুক্তি, “রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল গড়া জরুরি, না হলে কল্যাণীতে করতে দেওয়া হবে না।”
|