কৃষক সভা থেকে এ বার ছুটির পথে ‘চাষির বেটা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দলের কৃষক সংগঠনে আর সম্ভবত জায়গা থাকবে না ‘চাষির বেটা’র জন্য!
কৃষক সভার কোনও কমিটিতে আর থাকতে চান না বলে নেতৃত্বের কাছে লিখিত ভাবে আর্জি জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। গত বছর দুয়েকে তাঁর কাজকর্ম দেখে দলীয় নেতৃত্বও আর প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রীকে কৃষক সভায় রাখতে আগ্রহী নন। পারস্পরিক এই ইচ্ছা মর্যাদা পেলে শীঘ্রই কৃষক সভার ইনিংসে ইতি পড়তে চলেছে রেজ্জাকের।
মালদহে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে কৃষক সভার রাজ্য সম্মেলন। কিন্তু মাস পাঁচেক আগেই সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি লিখে রেজ্জাক জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর কমিটিতে থাকতে চান না। তাঁর বক্তব্য, “কৃষক সভার কাজে আর থাকতে চাই না। অনেক আগেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছি।” জেলায় কৃষক সভার সম্মেলন উপলক্ষে সোমবারই অবশ্য বসিরহাটে এক সমাবেশে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেজ্জাক। তবে তাঁর দাবি, উত্তর ২৪ পরগনায় কৃষক সভার ডাকে তিনি ইদানীং কালে কর্মসূচিতে গিয়েছেন রাজ্য কমিটির তরফে দায়িত্ব পালন করার জন্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নেতা রেজ্জাক রাজ্য কমিটির সদস্য হিসাবে পাশের জেলারও সহযোগী দায়িত্বে। তাই উত্তরের জেলা সম্পাদক গৌতম দেবের অনুরোধে সাড়া দিয়ে কিছু কর্মসূচিতে যাচ্ছেন। কিন্তু রাজ্য সম্মেলনের পরে তিনি কৃষক সভা থেকে পুরোপুরিই অব্যাহতি চান।
ঘটনা হল, দেড় বছরের বেশি সময় কৃষক সভার কাউন্সিল বা কমিটির বৈঠক এড়িয়ে চলেন রেজ্জাক। তাঁর মনোভাবে সংগঠনের নেতৃত্ব যথেষ্ট বিরক্ত। রেজ্জাকের নিজের আর্জিই তাই তাঁদের কাজে সুবিধা করে দিয়েছে! দলের রাজ্য কমিটির এক সদস্যের কথায়, “চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এই কঠিন সময়ে যাঁরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে পারবেন, তাঁদেরই কমিটিতে রাখা হবে।” কৃষক সভার রাজ্য নেতৃত্বে বড় কোনও রদবদলের ইঙ্গিত এখনও নেই। মামলার ফেরে আটকে-পড়া পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতা তরুণ রায় ফের কৃষক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক হলে নৃপেন চৌধুরী রাজ্য সভাপতি হতে পারেন বলে সিপিএমের একটি সূত্রের ইঙ্গিত। তরুণবাবুর অনুপস্থিতিতে কাজ চালানোর জন্য কার্যকরী রাজ্য সম্পাদক করা হয়েছিল নৃপেনবাবুকে। |