|
|
|
|
জিতেও স্বস্তি নেই শাসক শিবিরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া |
স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের ধারা মোটামুটি অব্যাহত থাকলেও স্বস্তিদায়ক নয়। রবিবার বাঁকুড়া জেলায় কয়েকটি স্কুলের নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
বাঁকুড়া জেলার ৮টি স্কুলে রবিবার নির্বাচন হয়। তার মধ্যে ৫টি ছিল তৃণমূলের দখলে, তিনটি সিপিএমের। এ বার নির্বাচনে তৃণমূল তিনটি দখলে রাখতে পারে। বাকি দু’টির মধ্যে সিপিএম একটি কেড়ে নেয়। অন্যটিতে সিপিএম ও তৃণমূলের তিন জন করে প্রার্থী জয়ী হয়। সিপিএমের দখলে থাকা তিনটি স্কুলের মধ্যে একটি স্কুলে তৃণমূলের সঙ্গে জয় ভাগ করে নিচে হয়েছে তাদের। বাকি দু’টি স্কুলের মধ্যে একটি তৃণমূল কেড়ে নিয়েছে। শুধু একটি মাত্র স্কুলে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে সিপিএম, তাও জেএমএমের সঙ্গে জোট গড়ে।
তৃণমূলের দখলে রাখা স্কুলগুলি হল: সারেঙ্গা ব্লকের ধানাড়া-বিক্রমপুর শ্যামাপ্রসাদ মেমোরিয়াল হাইস্কুল, সিমলাপাল ব্লকের বিক্রমপুর হাইস্কুল ও তালড্যাংরা ফুলমতি হাইস্কুল। সিপিএমের হাত থেকে তৃণমূল কেড়ে নিয়েছে রাইপুর ব্লকের ঢেকো রজনীকান্ত হাইস্কুল। অন্য দিকে, তৃণমূলের কাছ থেকে সিপিএম গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের খাট্টা খুদেরডাঙ্গা হাইস্কুল ছিনিয়ে নিয়েছে। রাইপুর ব্লকের ঢেঙাম হাইস্কুল নিজেদের দখলে রাখতে সিপিএমকে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট গড়তে হয়েছে। সিমলাপাল ব্লকের বনসারেঙ্গা হাইস্কুল ও পার্শ্বলা হাইস্কুলে এ বার সিপিএম এবং তৃণমূল তিনটি করে আসনে জয়ী হয়। বনসারেঙ্গা আগে তৃণমূলের এবং পার্শ্বলা আগে সিপিএমের দখলে ছিল।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্রের দাবি, “বহু স্কুলের নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্য আমাদের প্রার্থীরা প্রচারই করতে পারেননি। আর যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে সেখানে আমাদের প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছেন।” জেলা তৃণমূল নেতা শ্যামল সরকার অবশ্য দাবি করছেন, “রাজ্যের অন্যান্য এলাকার মতো বাঁকুড়া জেলাতেও আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রতি মানুষ আস্থাশীল। অন্য দু’টি স্কুলে কেন অন্য রকম ফল হল খোঁজ নিয়ে দেখব।” |
|
|
|
|
|