|
|
|
|
যুবতী খুনে ধৃত ১, মূল অভিযুক্ত অধরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ডায়মন্ড হারবারে যুবতী খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে রামরামপুর এলাকা থেকে পল্টু কাঞ্জি নামে ওই যুবককে ধরা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, খুনের সময়ে ঘটনাস্থলে থাকলেও সে সরাসরি খুন করেনি।
গাজনের মেলা দেখতে যাওয়ার কথা বলে শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি ডায়মন্ড হারবারের হরিণডাঙার পূর্বপাড়ার বাসিন্দা মানসী পুরকাইত। রবিবার সকালে গলায় মাফলারের ফাঁস লাগানো অবস্থায় বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে, রামরামপুর এলাকার একটি গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামের কাছ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময়ে তদন্তকারীরা যুবতীর মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগও উদ্ধার করে। মানিব্যাগ থেকে কিছু যুবকের ছবি মেলে। তা ছাড়াও, ওই ব্যাগে আটটি মোবাইলের সিম-কার্ডও পাওয়া যায়। ছবি ও মোবাইলের সূত্র ধরেই সোমবার সকালে পল্টু কাঞ্জিকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতকে জেরায় জানা গিয়েছে, হরিণডাঙা এলাকায় দূর সর্ম্পকের এক আত্মীয় যুবকের সঙ্গে মানসীর প্রেম ছিল। বছর খানেক আগে মানসী অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন। তাঁর গর্ভপাত করানো হয়। ফের কয়েক মাস আগে মানসী অন্তঃসত্ত্বা হন। তারপর থেকে ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন মানসী। সেই কারণেই ওই যুবক মানসীকে খুনের ছক কষে। পল্টু-সহ আর এক জনকে খুনের জন্য ১০ হাজার টাকা দেয়। তবে, তদন্তের স্বার্থে ওই যুবকের নাম তদন্তকারীরা বলতে চাননি। তাঁদের দাবি, রবিবার ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের কাছ থেকে মোটরবাইকে মানসীকে কিছুটা দুরে নিয়ে আসে ওই যুবক। তারপর একটি ভাড়া গাড়িতে মানসীকে তোলা হয়। সেই গাড়িতে পল্টু এবং আর এক জনও ছিল। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার এলাকায় গাড়িটি ঘোরাঘুরি করে। রামরামপুরে পৌঁছনোর পরে ওই যুবকই মানসীকে মাফলারের ফাঁস দিয়ে মেরেছে বলে জেরায় দাবি করেছে পল্টু।
তদন্তকারীরা জানান, ধৃত যে সব কথা বলেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “আরও দুই যুবক শনাক্ত হয়েছে। দু’জনই এখনও পলাতক। শীঘ্রই ধরা পড়বে। খোঁজ চলছে।” |
|
|
|
|
|