|
|
|
|
কৃষকসভার সমাবেশে বুদ্ধ |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জমি আন্দোলনের পর্বে পুনর্দখলের পর ৫ বছর আগে দলের প্রকাশ্য সমাবেশে এসেছিলেন নন্দীগ্রামের মাঠে। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে শেষ বার জেলায় এসেছিলেন তমলুকের নিমতৌড়ি ময়দানে। এবার দলের কৃষকসভার সম্মেলনে প্রকাশ্য সমাবেশে আসছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আগামী ৫ জানুয়ারি প্রকাশ্য সমাবেশ হবে নন্দীগ্রাম লাগোয়া চণ্ডীপুর ফুটবল ময়দানে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সমাবেশকে দলীয় প্রচারের মঞ্চ হিসাবে গুরুত্ব দিচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম।
গত বছর রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের আগে, ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই শুরু হয়েছিল বামেদের পতন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলা সিপিএমের অবলম্বন এখন সেই জেলার চণ্ডীপুরের কৃষকসভার সমাবেশ। প্রায় দেড় বছরে জেলায় সেই অর্থে বড় কোনও সভা-সমাবেশ করতে পারেনি জেলা সিপিএম। উল্টে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে সিআইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া, বিজয় রায়, অশোক বেরার মতো সিপিএম নেতারা। একমাত্র সান্ত্বনা চলতি বছর মে মাসে হলদিয়া পুরসভা নির্বাচনে জয়লাভ। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে চণ্ডীপুরের কৃষকসভাকে হাতিয়ার করতে প্রচার চালাচ্ছে সিপিএম নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ জানুয়ারির সমাবেশ মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও থাকছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র, কৃষকসভার রাজ্য সহ-সভাপতি বিনয় কোঙার প্রমুখ রাজ্য নেতৃত্ব। কৃষক সভার দু’দিন ব্যাপী জেলা সম্মেলন হবে চণ্ডীপুরবাজার থেকে নন্দীগ্রামগামী সড়কে তিন কিলোমিটার দূরে হাঁসচড়ায়। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফে ওই সভার একদিন পরই অর্থাৎ আগামী ৭ জানুয়ারি ওই একই জায়গায় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। থাকবেন, জেলা তৃণমূলের দুই প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারী। তৃণমূলের তরফে নন্দীগ্রামের শহিদদের স্মৃতিতে সভা বলা হলেও ওই সভাকে বুদ্ধবাবুর সভার জবাবি সভা হিসাবেই ধরছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
সিপিএমের দলীয় সূত্রে খবর, গত বছর রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর জেলায় কৃষকসভার সদস্য সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু মাত্র দেড় বছরেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন হওয়ায় চলতি বছর সদস্য সংখ্যা ফের বৃদ্ধি পাবে বলে আশা জেলা সিপিএমের। কৃষকসভার ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, “গত দেড় বছর রাজ্যে তৃণমূলের শাসন চলছে। সাধারণ মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতার পাশাপাশি এই জেলার মানুষ পাঁচ বছর তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েতের কাজে ব্যর্থতা থেকেও অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। জেলায় আমাদের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন যে ফের বাড়ছে তা জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নির্বাচনের ফল থেকেই স্পষ্ট।” |
|
|
|
|
|