কলকাতাকে ১-০ গোলে হারিয়ে আন্তঃ পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে খেতাব জিতলো বর্ধমান । সকালে বারাসতের ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট ইউনির্ভাসিটিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। গোল করেন অনিল কিস্কু, রাকেশ ব্যাপারি ও অভিষেক দেবনাথ। বিকেলেই কলকাতার মত শক্তিশালী দলের মুখোমুখি হয় বর্ধমান। কিন্তু এ দিন বর্ধমান প্রচুর গোলের সুযোগ না হারানোয় কলকাতা বড় ব্যবধানে হারে। বর্ধমানের একমাত্র গোলটি করেন দিলীপ মণ্ডল, ম্যাচের ৭৫ মিনিটের মাথায়।
তিনটি ম্যাচে মোট ৯ পয়েন্ট পেয়ে বর্ধমান এই প্রতিযোগিতায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ৬ পয়েন্ট পেয়ে রানার্স হয়েছে কলকাতা। তৃতীয় স্থান পেয়েছে বারাসত। কোন পয়েন্ট না পেয়েও মূল পর্বে ওঠার জন্য ডিব্রুগড় চতুর্থ দল হিসেবে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় সুযোগ পাচ্ছে। ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সর্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতা। চলবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবার দেখা যাক, বর্ধমান এই প্রতিযোগিতায় কতটা প্রাধান্য দেখাতে পারে। |
চলছে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল। —নিজস্ব চিত্র। |
বর্ধমানের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রথীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও টিম ম্যানেজার রঘুনাথ ঘোষ দু’জনেরই বক্তব্য, “দল যেমন খেলছে, তাতে আমাদেরই সর্বভারতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া উচিত।”
বর্ধমান ২০০৯ সালের পরে এই প্রতিযোগিতা জিতল প্রায় তিন বছর পরে। সব মিলিয়ে মোট ১৪ বার এই প্রতিযোগিতায় খেতাব জিতেছে তারা। কিন্তু এতে এতটুকু সন্তুষ্ট নন রথীনবাবুরা। ১ জানুয়ারিতে গোটা শহর যখন উৎসবে মেতে উঠবে, তখন বর্ধমানের ফুটবলারদের নামতে হচ্ছে হাড়ভাঙা প্রাকটিসে। সর্বভারতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা, আশুতোষ কাপের খেলা উদ্বোধন করতে বর্ধমানে আসছেন প্রাক্তন ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি, বিদেশ বসু ও সুরজিৎ সেনগুপ্ত। |