নিয়মরক্ষার ম্যাচ যে এ ভাবে মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে বদলে যাবে তা কে জানত?
জয় দূর অস্ত। রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাঁচানোই এখন লক্ষ্য বাংলার। দ্বিতীয় দিন বল হাতে বাংলার টপ অর্ডারকে নাড়িয়ে দেওয়ার পর তৃতীয় দিন ব্যাট হাতে ঋদ্ধিমান সাহার দলকে জয়ের কক্ষপথ থেকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে দিলেন কৃষ্ণকান্ত উপাধ্যায়। সৌরভ সরকার, ইরেশ সাক্সেনাদের আক্রমণ উড়িয়ে করে গেলেন ৫৫ রান। নবম উইকেটে কৃষ্ণকান্ত এবং রেল উইকেটকিপার মহেশ রাওয়াত (অপরাজিত ৭৫) জুটি স্কোরবোর্ডে জুড়লেন ৯৮ রান। যার সুবাদে নয় উইকেট হারিয়ে সঞ্জয় বাঙ্গারের দলের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ৩১৪ রানে। জয়ের জন্য ৩৭২ রান তুলতে হবে, এই পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার রান এক উইকেটে ১৩। স্কোরবোর্ডে প্রথম রান উঠতে না উঠতেই প্যাভিলিয়নে ওপেনার রোহন বন্দ্যোপাধ্যায় (৫)। বাংলা অধিনায়ক বাড়ি ফেরার পথে তাই বলে গেলেন, “এই ম্যাচ জেতা কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। মঙ্গলবার ম্যাচ বাঁচানোই প্রাথমিক লক্ষ্য।” এ দিন বাংলা বোলারদের মধ্যে উজ্জ্বল অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালা (৩-৪২)। রেল ওপেনার পাউনিকর (৫৪) এবং মুরলী কার্তিককে (১১) ফিরিয়ে রঞ্জি ট্রফিতে দু’শো উইকেট ঝোলায় পুরলেন পাঁচ বছর পর দলে ফেরা শিবশঙ্কর পাল (২-৪৮)। তা সত্ত্বেও প্রথম ইনিংসের চেয়ে কমে থামানো সম্ভব হয়নি রেলওয়েজকে। এ দিকে জয়পুরে রঞ্জি ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১৩৮ রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে অবনমন এড়াল গত বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান। এই গ্রুপ থেকে নেমে গেল হায়দরাবাদ।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রেলওয়েজ ২১৪ ও ৩১৪ (পাউনিকর ৫৪, রাওয়াত ৭৫ ন.আ, অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালা ৩-৪২)
বাংলা ১৫৭ ও ১৩-১। |