কেলেঘাই নদীর পাড়ে পড়ে থাকা সেচ দফতরের কয়েকটি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। পটাশপুর ১ ব্লকের গোপালপুর পঞ্চায়েত এলাকার মাধবচক গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় মাধবচক সেচ বাংলোর নৈশপ্রহরী অরুণোদয় পাত্র পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ মান্না-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শনিবার পটাশপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি পুকুর থেকে ২০টি গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। বাকি গাছের খোঁজেও তল্লাশি চলছে। তবে ওই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ অভিযুক্তরা পলাতক। সেচ দফতরের কাঁথি বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন পণ্ডিত বলেন, “স্থানীয় কয়েকজন আনুমানিক এক লক্ষ টাকার গাছগুলি কেটে নেওয়ার সময় আমাদের কর্মী জানতে পেরে বাধা দেয়। কিন্তু ওরা গাছগুলি নিয়ে চলে যায়। বিষয়টি সরকারি ভাবে বিভিন্ন দফতরে জানানোর পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” ওই নদীর পাড়ে নিম, শিরীষ, আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস গাছগুলির কিছু বনসৃজনের জন্য আবার কিছু স্বাভাবিক ভবেই জন্মেছে। সেচ দফতরের কর্মী অরুণোদয়বাবুর অভিযোগ, দিন পনেরো আগে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, কুঞ্জবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ মান্নার নেতৃত্বে এলাকারই কয়েকজন প্রায় ৫০টি গাছ কেটে নেন। বাধা দিলেও তা তাঁরা শোনেননি বলে তাঁর অভিযোগ। তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি প্রভুরাম দাস বলেন, “নিজের অনুগামীদের কয়েকজনকে দিয়ে প্রদীপ মান্না কিছু গাছ বিক্রি করে দেন। বাকিগুলি নিয়ে না যেতে পেরে গ্রামেরই পুকুরে ফেলে দেন। আমাদের দাবি, সরকারি সম্পত্তি লুঠের অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করুক।” অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে কংগ্রেসের পটাশপুর ১ ব্লক সভাপতি শঙ্কর বল্লভ বলেন, “স্থানীয় কিছু যুবকই গাছগুলি কেটেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে প্রদীপবাবু কোনও ভাবেই যুক্ত নন। এলাকায় তৃণমূলের দুর্নীতি, তোলাবাজি ও সন্ত্রাসের লাগাতার প্রতিবাদ করায় মিথ্যে অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।”
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পশু হাসপাতালের উদ্বোধনে বিধায়ক ডাক না পাওয়ায় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মাটিগাড়া পাথরঘাটার হিমুলের অফিস সংলগ্ন এলাকায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন ওই এলাকায় একটি পশু হাসপাতালের উদ্বোধন করেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী। তাতে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকারকে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। উদ্বোধন চলাকালীন পাথরঘাটা অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি সুকুমার শৈব-র নেতৃত্বে সেখানে যান দলের কর্মীরা। কেন স্থানীয় বিধায়ককে আমন্ত্রণ করা হয়নি তা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান তাঁরা। মন্ত্রী কোনও উত্তর না দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান বলে অভিযোগ। মন্ত্রী যাওয়ার পরেও সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। শঙ্করবাবু বলেন, “এই সরকার দলবাজিতে আগের সরকারকেও হার মানিয়েছে। সে জন্য তারা ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিধায়ককে আমন্ত্রণের সৌজন্যতাবোধ দেখায়নি। অথচ ওই হাসপাতালের জন্য বার বার দাবি জানিয়েছি আমি।” সুকুমারবাবু বলেন, “পশু হাসপাতালের জন্য দীর্ঘদিন আগে বাড়ি তৈরি হয়। সম্প্রতি তা রং করা হয়। এ দিন চুপিসাড়ে কিছু আধিকারিককে নিয়ে হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় মানুষকেও বিষয়টি জানানো হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম বিধায়ককে আমন্ত্রণ করা হবে। তা করা হয়নি। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সে জন্যই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।” শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট-এর এক আধিকারিক বলেন, “কংগ্রেস সামান্য বিক্ষোভ দেখায়। অনুষ্ঠানে সমস্যা হয়নি।”
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
রবিবার রাতে বুনো হাতির হামলা হল আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের লোকনাথপুর গ্রামে। একটি দলছুট দাঁতাল তিনটি বাড়ি ভেঙে চাল ও লবণ ও ঘরে মজুত ধান খেয়েছে। লাগাতার হাতির হানায় অতিষ্ঠ গ্রামবাসী এদিন হাতির হানা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ ও হাতি তাড়ানোর জন্য সার্চ লাইট, পটকা দেওয়ার দাবিতে রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে আশ্বাস পেয়ে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। তৃণমূল নেতা বাবুলাল মারান্ডি জানিয়েছেন, সাতদিনে লোকনাথপুর গ্রামে হানা দিয়ে ৭ গ্রামবাসীর অন্তত ২০ কুইন্টাল পাকা ধান খেয়েছে। দ্রুত এর ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে।
|
দাঁত ভাঙা, জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হাতিটিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না। আজ মারা গেল সে। গত ৬ ডিসেম্বর গোয়ালপাড়া জেলার পঞ্চরত্ন অরণ্যের কাছেই কাদায় হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন গ্রামবাসীরা। তার দাঁত ভাঙা ছিল। আঘাত ছিল পা, শুঁড় ও লেজে। প্রথমে চোরাশিকারের ঘটনা মনে হলেও প্রাথমিক তদন্তের পরে বনকর্তারা জানায়, নিজেদের মধ্যে মারামারিতে ২৫ বছর বয়সী হাতিটি জখম হয়েছিল। |