|
|
|
|
ধৃত এক |
রাঁচি পুলিশের নাকের ডগায় বসেই হুমকি মেল |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
পুলিশের নাকের ডগায়, লালপুর থানার পাশেরই একটি সাইবার কাফে থেকে হুমকি ই-মেল পাঠানো হয়েছিল ঝাড়খণ্ড পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে। সোমবার সেই রহস্য ভেদ করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইরফান খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে রাঁচির লালপুর থানার পুলিশ। আদালত তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। ঝাড়খন্ডের আই জি (ইন্টেলিজেন্স এবং অপরেশনস) সত্যনারায়ণ প্রধান বলেন, “ওই যুবকই ই-মেল পাঠিয়ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, যে মেল আইডি থেকে ই-মেলটি করা হয়েছিল সেটি ওই যুবকেরই। জেরায় সে তা স্বীকারও করেছে। তবে ই-মেলটি সে পাঠায়নি বলেইতার দাবি।
পুলিশ জানায়, আজমল কাসভের ফাঁসির পরে, গত ৮ ডিসেম্বর ঝাড়খন্ড পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল জি এস রথের কাছে একটি ই-মেল আসে। তাতে লেখা ছিল, “আমাদের ভাইদের মৃত্যু হচ্ছে। এর প্রতিশোধ নিতে রাঁচি, দিল্লি ও মুম্বইয়ে তিন হাজার লোককে হত্যা করা হবে। ওই তিনটি শহরেই উগ্রপন্থীরা পৌঁছে গিয়েছে। রিমোট কন্ট্রোলে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।”একই ই-মেল পাঠানো হয় দিল্লি ও মুম্বইয়ের পুলিশ কর্তাদের কাছেও।
ওই ই-মেলের জেরে আতঙ্ক ছড়ায় রাঁচি শহরের বিভিন্ন জায়গায়। রেল স্টেশন, হাইকোর্ট চত্বর, অ্যালবার্ট এক্কা চকের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ঝাড়খন্ড পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিশ প্রথমে জানতে পারে, যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-মেলটি পাঠানো হয়েছে সেটি রয়েছে সিঙ্গাপুরে।
সত্যনারায়ণ প্রধান বলেন, “ইয়াহু থেকে ই-মেলটি পাওয়ার পরে আমেরিকা এবং সিঙ্গাপুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখানকার পুলিশের সাহায্যেই পরে জানা যায় মেলটি পাঠানো হয়েছিল রাঁচি থেকেই।” এর পরেই রাঁচির পুলিশকে সতর্ক করা হয়।
লালপুর থানার পুলিশ জানায়, ধৃত যুবক ওই সাইবার কাফেতে মাঝেমধ্যেই আসত। একটি বিশেষ কম্পিউটার ছাড়া অন্য কোনও কম্পিউটারে সে বসত না। ওই সাইবার কাফের মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। |
|
|
|
|
|