উৎসবের আমেজে পথে নেমে পড়েছিলেন আট থেকে আশি। কিন্তু বর্ষবরণের হুল্লোড়ে মাতার আগেই বিগড়োলো শহরের লাইফলাইন। ফের এসি রেক বিগড়ে গিয়ে সোমবার বিকেলের আগেই প্রায় এক ঘণ্টা বিভ্রাট চলল মেট্রোয়। নাকাল হলেন অসংখ্য মানুষ। মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, “বিদ্যুৎ সংযোগে গোলমাল হওয়ায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়।”
সমস্যার সূত্রপাত বেলগাছিয়া স্টেশনে। মেট্রো সূত্রে খবর, দমদম থেকে ছেড়ে একটি এসি মেট্রো বেলগাছিয়া স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে। থামার পরে ট্রেনটিতে আর কিছুতেই বিদ্যুৎ সংযোগ হচ্ছিল না। পরে মেট্রোকর্মীরা এসে দেখেন, থার্ড রেল থেকে ওই ট্রেনে বিদ্যুৎ সংযোগ যাচ্ছে না। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে ট্রেনটিকে সাময়িক সারাই করে কবি সুভাষে নিয়ে যাওয়ার পরে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এই কাজে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে দুপুর ২টো ২২ মিনিট থেকে ৩টে ২৭ মিনিট পর্যন্ত দমদম থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ভিড় সামাল দিতে ওই সময়ে গিরিশ পার্ক থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত বেশ কিছু ট্রেন চালানো হয়েছে। |
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ওই অংশে ট্রেন চলাচল করলেও বিভিন্ন স্টেশনে অন্তত মিনিট দশেক দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন।
কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলির বেশির ভাগই মেট্রো চলাচলের পথে। ফলে প্রতি বছরই ৩১ ডিসেম্বর শহরতলি থেকে এ দিন প্রচুর মানুষ কলকাতায় চলে আসেন। উৎসবের শহরে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কাটিয়ে ফিরে যান। এ দিন বিকেলের মুখে মেট্রো বন্ধ থাকায় এমন বহু যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। দমদম তো বটেই, ভিড় হয়ে যায় বেলগাছিয়া স্টেশন থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে। অনেক যাত্রীই মেট্রো চলবে না ধরে নিয়ে সড়ক পথে রওনা দেন। ফলে বাস,
ট্যাক্সি, অটো পেতেও নাকাল
হন অনেকেই।
মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “এসি ট্রেনটিতে কোনও গোলমাল রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আচমকা কেন থার্ড রেল থেকে ট্রেনটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হল, সেটাও দেখা হচ্ছে।” |