২০১২ শেষে সেনসেক্স তিন বছরে সর্বোচ্চ, টাকা পড়ল ১৮৯ |
বছরের শেষ দিনে স্থিতাবস্থাই ছিল শেয়ার বাজারে। এ দিন ১৮ অঙ্ক পড়লেও সেনসেক্স ২০১২ সাল শেষ করল প্রায় ২৬% উপরে। গত তিন বছরের বার্ষিক বৃদ্ধির মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে ডলারের দাম বাড়ায় পড়েছে টাকা। দিনের শেষে সেনসেক্স দাঁড়ায় ১৯,৪২৬.৭১ অঙ্কে। মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তার জেরেই সোমবার সাবধানী ছিলেন লগ্নিকারীরা। মন্দা থেকে বাঁচতে আমেরিকায় ৬০ হাজার কোটি ডলারের (৩,২৭০ হাজার কোটি টাকা) ব্যয়সঙ্কোচ ও বাড়তি কর বসানোর প্রস্তাব আগামী কাল থেকেই চালু হওয়ার কথা। যা ‘ফিসকাল ক্লিফ’ বলেই অভিহিত। তা এড়াতে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা বিকল্প প্রস্তাবে একমত হতে পারবেন কি না, এ নিয়ে টালবাহানা চলছে। এর জেরে ভারতে বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নি মার খাওয়ার আশঙ্কায় পড়ে বাজার। অনিশ্চয়তার ফলে বাড়ে ডলারের চাহিদা। টাকা পড়ে যায় ২২ পয়সা। দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৫৪.৯৯ টাকা। সারা বছরে তা পড়েছে ১৮৯ পয়সা। ভারতে ২০১২ সালে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি লগ্নি করেছে ২,৪২০ কোটি ডলার (১,৩১,৮৯০ কোটি টাকা)। ২০১০-র পর সর্বোচ্চ। বাজার সূত্রে ইঙ্গিত, কেন্দ্র ফের আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটায় ও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি, ব্যাঙ্কিং সংস্কার বিল পাশ হওয়াতেই বিদেশিদের আস্থা বেড়েছে।
|
আইকিয়ার কাছে বাড়তি তথ্য তলব করল কেন্দ্র |
ভারতে সুইডেনের সংস্থা আইকিয়ার লগ্নি প্রস্তাব নিয়ে আরও তথ্য চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। পাশাপাশি, সংস্থার আসবাবপত্র বিপণির মধ্যে ক্যাফেটারিয়া খোলার বিষয়টি নিয়েও আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত সচিব অরবিন্দ মায়ারাম। বিদেশে নিজেদের বিপণিতেই এই ধরনের ক্যাফেটারিয়া চালায় সংস্থা। পাশাপাশি, আসবাবপত্রের সঙ্গেই বৈদ্যুতিন ও চর্মজাত পণ্য, ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্যপণ্যও বিক্রি করে থাকে তারা। ভারতেও একই ধরনের পরিষেবা দিতে চেয়ে আবেদন করেছে সংস্থা। কিন্তু দেশে আইকিয়ার আসবাবপত্র বিপণি খোলাতে সায় দিলেও, বিপণির ভিতরেই ক্যাফেটারিয়া খোলার বিষয়ে সায় দেয়নি বিদেশি লগ্নি উন্নয়ন পর্ষদ। বিশ্বের বৃহত্তম আসবাবপত্র নির্মাতাটি ১০,৫০০ কোটি টাকা লগ্নিতে এ দেশে ২৫টি বিপণি খুলতে চায়। এ বার তাদের পেতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটির ছাড়পত্র।
|
পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধি কমে ১.৮% |
পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আটটি শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধির হার তলানিতে নেমে নভেম্বরে দাঁড়াল ১.৮%। গত বছর একই সময়ে তা ছিল ৭.৮%। আর অক্টোবরে বেড়েছিল ৬.৬% হারে। আটটি পরিকাঠামো শিল্পের তালিকায় রয়েছে: অশোধিত তেল, পরিশোধিত পেট্রোপণ্য, কয়লা, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, তৈরি ইস্পাত, প্রাকৃতিক গ্যাস। মূলত প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও সিমেন্ট উৎপাদন সরাসরি কমার জেরেই এক ধাক্কায় এতটা কমেছে পরিকাঠামোয় বৃদ্ধি। এটা আর্থিক মন্দারই ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অথর্র্নীতিবিদরা। নভেম্বরের সার্বিক শিল্প বৃদ্ধির উপরও এর প্রভাব পড়বে বলে তাঁদের আশঙ্কা। শিল্প বৃদ্ধির হিসাবে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের গুরুত্ব প্রায় ৩৮%। বছর শেষে পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধি কমার পাশাপাশি রাজকোষ ঘাটতিও এপ্রিল থেকে নভেম্বরে পৌঁছেছে ৪.১৩ লক্ষ কোটি টাকায়। মূলত রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের এই ফারাক আট মাসেই দাঁড়িয়েছে বাজেট হিসাবের ৮০.৪%। আজ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ অ্যাকাউন্টস প্রকাশিত তথ্যে এই হিসাব দাখিল করা হয়েছে। গোটা অর্থবর্ষের জন্য সরকারের লক্ষ্যমাত্রা এই ঘাটতি জাতীয় আয়ের ৫.৩ শতাংশে বেঁধে রাখা। আগের বছর তা ছিল ৫.৮ শতাংশ।
|
উইপ্রোর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা থেকে অন্য সব ব্যবসাকে আলাদা করার সিদ্ধান্তে সায় দিলেন সংস্থার শেয়ারহোল্ডাররা। যার মধ্যে থাকবে কনজিউমার কেয়ারঅ্যান্ড লাইটনিং (আসবাবপত্র-সহ), ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারিং (হাইড্রোলিক্স ও জল) এবং মেডিক্যাল ডায়াগনস্টিক প্রোডাক্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত থাকলেও, নতুন সংস্থাটি আপাতত তার বাইরেই থাকবে।
|
শিল্প কর্মীদের মূল্যবৃদ্ধি বাড়ল |
শিল্পক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার নভেম্বরে বেড়ে হল ৯.৫৫%। গত বছরের হার ৯.৩৪%। খাদ্যপণ্য, রান্নার গ্যাস, ওষুধ ও বাস ভাড়া বাড়ার ফলেই এই কর্মীদের খরচের বোঝা বেড়েছে বলে সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত।
|
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির জন্য ১৭টি কয়লা ব্লক বণ্টনের প্রস্তাব দিল কেন্দ্র। নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য দেওয়া হবে ১৪টি, খননের জন্য ৩টি। কয়লা মন্ত্রক সংস্থাগুলির থেকে প্রস্তাব চেয়েছে।
|
বোলপুর শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতি ও আমার কুটির সোসাইটির উদ্যোগে মোট ১৩ একর জমির উপর শুরু হল ইকো ট্যুরিজিম পার্ক। সোমবার মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ এই পার্কের উদ্বোধন করেন। |