নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাই পঞ্চায়েতের ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। জেলা প্রশাসনও ওই পঞ্চায়েত নিয়ে আশাবাদী।
বীরভূমে ১০০ দিন প্রকল্পের অগগ্রতি দেখতে গত শুক্রবার তিন সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসে। তিন দিন ধরে জেলার ৩০টি পঞ্চায়েত এলাকা তাঁরা পরিদর্শন করেন। অফিসে গিয়ে খোঁজ খবর নেন, খাতাপত্র দেখেন। ওই ৩০টির পঞ্চায়েতের মধ্যে একটি হল চিনপাই পঞ্চায়েত। শনিবার সেখানে ওই প্রতিনিধি দলের এক সদস্য যান। তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজকর্ম সম্পর্কে জানতে চান। খাতাপত্র দেখার পর ওই পঞ্চায়েতের মধুপা ও রাধামাধবপুর গ্রামে তিনি যান। |
পঞ্চায়েত প্রধান মাসুদ করিম মণ্ডল তাঁকে জানান, ওই দু’টি গ্রামে বেশ কিছু ডাঙাজমিকে চাষযোগ্য জমিতে পরিণত করা হয়েছে ১০০ দিনের প্রকল্পে। ওই জমিতে কী ভাবে সেচের কাজ হয়, ওই প্রতিনিধি তা দেখতে যান। মধুপা গ্রামে জঙ্গলের ভিতর একটি কাঁদর রয়েছে। সেখানে জলের উৎসও রয়েছে। তা দেখে সঙ্গে থাকা বিডিও কুণাল বন্দোপাধ্যায়কে তিনি বলেন, “খুব শীঘ্রই যেন কাঁদরে বাঁধ দিয়ে জলাধার তৈরি করা হয়।” ১০০ দিন প্রকল্পে কী ভাবে সবাইকে যুক্ত করে প্রধান কাজ করেছেন তা শুনে ওই প্রতিনিধি বিডিওকে জানান, ওই পঞ্চায়েতর কাজ অন্য পঞ্চায়েতগুলির কাছে অনুকরণযোগ্য। বিডিও বলেন, “মধুপা কাঁদরে বাঁধ দিয়ে জলাধার তৈরি করা হবে। চিনপাইয়ের কাজ দেখে ওই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি উচ্ছ্বসিত।”
এই পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্যই সিপিএমের। কিন্তু উন্নয়নের কাজে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি কোনও বাধা দেয় না বলে উন্নয়ন করা সহজ হয়েছে ও হচ্ছে বলে প্রধানের দাবি। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার পরিবারকে প্রায় ৩০ দিন কাজ দেওয়া গিয়েছে। ৫০টি পুকুর সংস্কার, ২টি নতুন মাটির রাস্তা নির্মাণ, ৪টি মাটির রাস্তায় মোরাম দেওয়া ও কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। মধুপা কাঁদরে বাঁধ দিয়ে জল ধরে রাখলে এলাকার ২০০ বিঘা জমিতে চাষ হবে বলে প্রধানের দাবি। তিনি বলেন, “গত ৯ মাসে ১০০ দিন প্রকল্পে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে।” |