ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ ছিলই। এ বার অভিযোগকারিণী যুবতী ও তাঁর বাবাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। জখম বাবা-মেয়েকে
ভর্তি করা হয়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে
জানিয়েছে পুলিশ।
স্বামী-বিচ্ছিন্না ওই মহিলার বাড়ি ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানার পারগাঁতি এলাকায়। পরিবারটি ‘তৃণমূল সমর্থক’ বলেই এলাকায় পরিচিত। মাস তিনেক আগে ওই বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী জব্বার সর্দারের বিরুদ্ধে। লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি থানার সরবেড়িয়ার ওই ঘটনায় জব্বারের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বছর চব্বিশের ওই মহিলা। সন্দেশখালির পুলিশ গ্রেফতার করে জব্বারকে। পরে জামিনে ছাড়া পান ওই ব্যক্তি।
এরপর থেকেই মহিলার পরিবারের উপরে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ আসছিল বলে অভিযোগ। ওই বধূ ও তাঁর বাবা বলেন, “আমরাও তৃণমূল করি। কিন্তু মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের উপরে লাগাতার চাপ দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার দলবল নিয়ে এসে তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে চড়াও হয়। মারধর করে।” ‘নির্যাতিতা’র পরিবারের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে তাঁদের গ্রামে কার্যত ‘একঘরে’ করে রাখা হয়েছে। শনিবার জীবনতলা থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যানিং ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সওকত মোল্লা মহিলার ‘চরিত্র’ নিয়েই কটাক্ষ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “মহিলা বাইরে থেকে গ্রামে লোকজন ডেকে আনতেন। জব্বার সে সবের প্রতিবাদ করায় ওঁকে ফাঁসানো হয়েছিল। এলাকার মানুষই ওঁদের বয়কট করেছেন। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” |