পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রত্যাশিত ভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়া করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
রবিবার বসিরহাট ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজেন্দ্রপুর পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন মাঠে জনসভায় হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টচার্য, মানস ভুঁইঞা, জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবী ঘোষাল, অসিত মজুমদার সহ কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা।
প্রদীপবাবু বলেন, “তৃণমূল ভাল দল নয় জেনেও একটি অতি খারাপ দলকে হারাতে আমরা ওদের সঙ্গে জোট করেছিলাম। কিন্তু এ রকম হবে বুঝলে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতাম না।” প্রদীপবাবুর অভিযোগ, নিজেরা কাজ করতে না পেরে তৃণমূল সরকার দোষ দিচ্ছে কেন্দ্রকে। তাঁর বক্তব্য, একশো দিনের কাজ-সহ গ্রামোন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে যে কাজ হচ্ছে, সেগুলি সবই কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনায়। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ক্ষমতা তৃণমূলের নেই। কার্ড দিচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের প্রকল্প নিজেদের নামে চালাচ্ছে।
মানসবাবু বলেন, “প্রায়শ্চিত্ত করতে এখানে এসেছি। আগে কিছু পাপ করেছিলাম। আগে আমি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলাম। বাংলার মানুষের নির্দেশে জোট করেছিলাম। ডাকাতি, রাহাজানি করা সিপিএম সরকারকে সরাতে চেয়েছিলাম। বিধানসভায় ২৯৪টি আসনের মধ্যে আমাদের দাবি ছিল মাত্র ৯৪টি আসন। তৃণমূল তা-ও দেয়নি। কিন্তু দলের নির্দেশে সেটা মেনে নিয়েছিলাম।” মানসবাবু বলেন, “বসিরহাটে কংগ্রেস শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও একটিও আসন আমাদের এখানে দেওয়া হয়নি। এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর জবাব দিতে হবে, কড়ায় গণ্ডায় হিসেব নিতে হবে।”
অন্য দিকে, ক্যানিংয়ে এ দিনই এক জনসভায় তৃণমূলকে বিঁধেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় আসার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই সঙ্গে বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষা-স্বাস্থ্য-শিল্পের হাল নিয়েও এ দিন তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন রাহুল।
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের সঙ্গে পার্কস্ট্রিটের তুলনা টেনেও মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিয়েছেন বিজেপি নেতা। তৃণমূলে অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ টেনে বিঁধেছেন তিনি। |