|
|
|
|
ছাড়া পেলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্য সরকারের নির্দেশে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেলেন ছ’জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। রবিবার সকালে এঁরা মুক্তি পেয়েছেন। এঁদের কেউ ২৩ বছর, কেউ ২৬ বছর জেলে ছিলেন। জেল সুপার খগেন্দ্রনাথ বীর বলেন, “রবিবার ছ’জন আবাসিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এঁদের সকলেরই যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ ছিল।” জেলের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “রাজ্য সরকারের নির্দেশে এই মুক্তি। আশা করব, পুরনো দিনের কথা ভুলে গিয়ে এঁরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরবেন। সমাজের জন্য কাজ করবেন। মানুষের কথা ভাববেন।” মুক্তি পেয়ে বন্দিরাও জানিয়েছেন, তাঁরা দ্রুত সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চান।
আগেও এক দফায় ৮৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এ বার ৫২ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির মুক্তির নির্দেশ হয়। এর মধ্যে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে যে ছ’জন ছাড়া পেলেন তাঁদের নাম রাজাগোপাল সোনার, মনোজ সোনি, কুম্ভ গড়াই , হারু সিংহ, যমুনা মাহাতো ওরফে খাঁদু ও বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। জেল সূত্রে খবর, এঁদের মধ্যে রাজাগোপাল ২৬ বছর ২ মাস জেলে ছিলেন। তাঁর বাড়ি কলকাতায়। মনোজ ২৫ বছর জেলে ছিলেন। তিনিও কলকাতার বাসিন্দা। কুম্ভ ২৩ বছর জেলে ছিলেন। বাড়ি পুরুলিয়ায়। হারুর বাড়ি ওড়িশার বালেশ্বরে। তিনি ২০ বছর ৬ মাস জেলে ছিলেন। যমুনা ১৫ বছর জেলে ছিলেন। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে। অন্যদিকে, বিশ্বনাথ ১৮ বছর জেলে ছিলেন। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ায়। এ দিন তাঁদের নিতে পরিবারের লোকেরা এসেছিলেন। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে আট জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। জেল সূত্রে খবর, প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র আসার পর ৬ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগে এ সংক্রান্ত নির্দেশ এসেছিল জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। নতুন বছর শুরুর ঠিক একদিন আগে, রবিবার দুপুরে তাঁদের ছাড়া হয়। |
|
|
|
|
|