|
|
|
|
এবিজি-র যন্ত্র সরানোর প্রক্রিয়া শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তিন জয়েন্ট স্পেশাল অফিসারের উপস্থিতিতে হলদিয়া বন্দরের পণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজি-র যন্ত্রপাতি সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।
শনিবার দুপুরে হলদিয়া বন্দরে আসেন হাইকোর্ট নিযুক্ত তিন জয়েন্ট স্পেশাল অফিসার জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, প্রবালকুমার মুখোপাধ্যায় ও উৎপল বসু। ছিলেন এবিজি-র ম্যানেজার যোগেশ অগ্রবাল, বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে ম্যানেজার ট্রাফিক (শিপিং) দামোদর নায়েক-সহ কয়েক জন আধিকারিক। এ ছাড়াও, জেলাশাসকের নির্দেশে সেখানে উপস্থিত ছিলেন এক ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিক। সকলে ২ ও ৮ নম্বর বার্থে যান। এবিজি-র স্বয়ংক্রিয় মোবাইল হারবার ক্রেন, ডাম্পার-সহ যন্ত্রপাতির তালিকা তৈরি করেন জয়েন্ট স্পেশাল অফিসাররা। কী ভাবে যন্ত্রগুলি নিয়ে যাওয়া যেতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়। পরে ওই বার্থ দু’টিতে এবিজি-র অস্থায়ী অফিসগুলি থেকে যাবতীয় কম্পিউটর ও নথি নিয়ে বিকেল চারটে নাগাদ হলদিয়া ছাড়েন তিন স্পেশাল অফিসার।
বন্দরের ম্যানেজার ট্রাফিক (শিপিং) দামোদর নায়েক বলেন, “কী ভাবে এবং কবে যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়া হবে সে বিষয়ে ওঁরা কিছু বলেননি।” পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে ওঁরা হলদিয়া বন্দরে এসেছিলেন। কোনও সমস্যা হয়নি।”
শাসক দলের চাপে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ ও চুক্তি অনুযায়ী পণ্য খালাসের সুযোগ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে এবিজি মাস চারেক আগে বন্দর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে হাইকোর্টের মীমাংসার মাধ্যমে অতিরিক্ত পণ্য পাওয়ার শর্তে টিকে গিয়েছিল এবিজি। কিন্তু শর্ত পূরণ না হওয়ার অভিযোগে ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ২৭৫ জন ‘অতিরিক্ত’ শ্রমিককে ছাঁটাই করে ওই সংস্থা। এই ছাঁটাই ঘিরে আন্দোলনে নামে তৃণমূল। ২৭ অক্টোবর রাতে এবিজি-র তিন আধিকারিক-সহ পরিবারকে অপহরণের অভিযোগ ওঠার পরেই বন্দর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই সংস্থা। মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।
এবিজির দাবি ছিল, বন্দর থেকে তাঁদের যন্ত্রপাতি নির্বিঘ্নে বার করে নিয়ে যেতে দিতে হবে। কিন্তু চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই চলে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণ না দিয়ে যন্ত্র বের না করার কথা জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ। তখন এবিজি-র পাল্টা যুক্তি ছিল, মামলা নিষ্পত্তি হতে যে সময় লাগবে তাতে যন্ত্র বিকল হয়ে যাবে। সেই যুক্তি মেনেই ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জানায়, হাইকোর্ট নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের উপস্থিতিতে বন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।
|
|
|
|
|
|