যে কোনও ভারত-পাক লড়াইয়ের আসল কথাটাই হল চাপে মাথা ঠান্ডা রাখা। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেটা করে দেখিয়েছিল পাকিস্তান, আমদাবাদে দেখাল ভারত। সিরিজে দু’টো দলেই অনেক প্রতিভা দেখে ভাল লাগছে। আরও এক বার পাকিস্তানের এক তরুণ পেসার নজর কাড়ল। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচের উপর নিয়ন্ত্রণ তৈরি করছে সইদ আজমল- ছবিটা দেখতে আমরা অভ্যস্ত। এ বার ইরফানকে দেখে সতিই অবাক হয়েছি!
প্রথম ম্যাচে ইরফান অসাধারণ বল করেছে। উচ্চতা-নির্ভুল নিশানা-গতি, ভাল পেসারের সব মশলাই ওর আছে। তবে ওর ভাল দেখভাল চাই। ওর মতো উচ্চতায় প্রথম থেকেই ফিটনেসে জোর দেওয়াটা খুব জরুরি। পাশাপাশি পাকিস্তানের ব্যাটিংকে ফর্মে দেখাচ্ছে। টি-টোয়েন্টিতে হাফিজ আর শোয়েব মালিক যে ভাবে ব্যাট করেছে, দেখে মন ভরে গিয়েছে। দলের তরুণ ওপেনাররাও উন্নতি করেছে। এ বার উমর গুল যদি নিজেকে আর একটু প্রয়োগ করে, মিসবা-উল-হকের নেতৃত্বে এই দলটা খুব ভাল ব্যাটিং শক্তি হয়ে উঠবে।
অন্য দিকে, গত কয়েক মাস ভারতীয় বোলিং বারবার ব্যর্থ। এক দিনের সিরিজে পাকিস্তানিদের সামনে তাই ভারতীয়দের বাগে পেয়ে ওদের চাপটা বাড়িয়ে দেওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ। সুযোগটা কাজে লাগালে সিরিজে কিন্তু পাকিস্তান এগিয়ে। কারণ, এই মুহূর্তে পাকিস্তানি বোলাররা দারুণ ছন্দে আছে।
ভারতের আসল নির্ভরতার জায়গা ব্যাটিং। ভারতীয়রা আশা করবে, শুক্রবার যুবরাজ যে দাপটে ব্যাট করল সেটা এক দিনের সিরিজেও থাকবে। রাহানেকে দেখে মনে হল প্রতিভা আছে। সঙ্গে কোহলি বা রায়নার মতো এক দিনের ক্রিকেটের অভিজ্ঞরা তো আছেই।
তবে ভারতের জন্য সিরিজটা জেতা জরুরি অন্য কারণে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজের দুঃস্বপ্ন ভুলতেই ভাল করতে চাইবে ওরা। আমার মতে আইপিএল হল বিপজ্জনক টুর্নামেন্ট। যা কোনও ভাবেই প্লেয়ারের মধ্যে টেস্ট খেলার দক্ষতা গড়তে পারে না। বরং দক্ষতাকে ভোঁতা করতে পারে। বোলাররা এখন টেস্টে কুড়িটা উইকেট নিতে হিমশিম খাচ্ছে। এটাই ভারতের সব থেকে বড় সমস্যা। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে জিততে পারলেও সেটা ভুল শুধরোনোর দিকে একটা পদক্ষেপ হবে। |