মোতেরায় বড় রান ওঠাটা মোটামুটি একটা রুটিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবারের ম্যাচেও গ্রাউন্ডসম্যানরা এমন একটা উইকেট বানাল, যেখানে রান ওঠার কমতি ছিল না।
হাফিজের টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তের মধ্যে আমি কোনও ভুল দেখতে পাচ্ছি না। আসলে শিশিরের কথা মাথায় রেখে শেষ চারটে ম্যাচে টসজয়ী অধিনায়কেরা পরে ব্যাট করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাফিজের তো আর জানার উপায় ছিল না যে, যুবরাজ সিংহ কী রকম ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
চাপের মুখে যুবরাজ এ রকম বিধ্বংসী ইনিংস অবশ্য আগেও খেলেছে। তবে সঈদ আজমলকে ও যে ভাবে তুলে তুলে স্ট্যান্ডে ফেলে দিচ্ছিল, তা ক্রিকেটে খুব বিরল দৃশ্য। এক দিনের ক্রিকেটে আজমলকে এ ভাবে পেটাতে খুব কম ব্যাটসম্যানই পেরেছে। ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকরা কিন্তু এই ইনিংসটাকে সহজে ভুলবেন না।
পাকিস্তানও দুর্দান্ত ভাবে রান তাড়া করেছিল। হাফিজ এখন জীবনের সেরা ফর্মে ব্যাট করছে। এ রকম টাইমিং আমি খুব কম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানেরই দেখেছি। ভারতকে ওখান থেকে ম্যাচে ফেরায় দিন্দা আর অশ্বিন।
অশ্বিন আগের ম্যাচে বাদ পড়েছিল। কিন্তু ফিরে এসে ও বুঝিয়ে দিল, স্পেশালিস্ট বোলারের বিকল্প হয় না। দিন্দা ডেথে খুব ভাল বল করে গেল। ওর তিনটে উইকেটই ভারতের দিকে ম্যাচটা এনে দেয়। তবে দিন্দাকে কিন্তু নতুন বলেও অধিনায়কের প্রত্যাশা মেটাতে হবে। ও যথেষ্ট গতির সঙ্গে নতুন বলটা সুইং করাতে পারে। কিন্তু ইদানীং দেখছি বড্ড শর্ট বল করছে। নিজের লেংথটা ঠিক করতে হবে দিন্দাকে। ভারতের হয়ে তিনটে ফর্ম্যাটেই খেলার মতো মশলা আছে ছেলেটার।
যাই হোক, টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ১-১ হওয়ার পর এ বার ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হচ্ছে। দুটো দলই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে সিরিজটা খেলতে নামবে। ধোনিরা যেমন সহবাগকে পাচ্ছে, তেমনই ওয়ান ডে-র জন্য পাকিস্তান রেখে দিয়েছে শোয়েব মালিক আর মহম্মদ ইরফানকে। সহবাগ এমনিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সফল। কিন্তু এ বার ওকে যথেষ্ট চাপ নিয়ে খেলতে হবে। টিমে নতুন করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার লড়াই লড়তে হবে বীরুকে।
রবিবার চেন্নাইয়ের দর্শকরা খুব ভাল একটা ওয়ান ডে ম্যাচ দেখতে পারে। যদি বৃষ্টি এসে ম্যাচ ভেস্তে না দেয়। |