কেউ রাগে ফুঁসছেন, কেউ আবার ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিুত। মোহনবাগানের শাস্তির দিনে প্রাক্তন ফুটবলাররা যা বললেন...
অমল দত্ত: উচিত শিক্ষা হয়েছে মোহনবাগানের। যে সব কর্মকর্তা সমথর্কদের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করেছে, তাদেরই সবার আগে শাস্তি দেওয়া উচিত ছিল।
অরুণ ঘোষ: আমাদের সময় মাঠ ছেড়ে উঠে যাওয়ার মতো স্পর্ধা না ফুটবলারদের ছিল, না কর্মকর্তাদের। এখনও মনে করি, ৯ ডিসেম্বর টিম তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক হয়নি। তাই আইন আইনের পথেই চলেছে।
বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়: আমাদের সময় ক্লাবটা ঐতিহ্যের মন্দিরে পরিণত হয়েছিল। আজ সেই মন্দিরকে লজ্জার ধুলোয় মিশিয়ে দিলেন কর্তারা।
সুধীর কর্মকার: কেউ যদি স্বেচ্ছায় বিষ পান করে, তা হলে অন্যদের কী করার আছে। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহমেডান ছাড়া ভারতীয় ফুটবলের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু দু’তিনজন কর্মকর্তার অতি-চালাকির জন্য এ বার সবাইকেই ভুগতে হবে। মোহনবাগানকে ফেডারেশন শাস্তি দিয়েছে। এ বার সমর্থকরা কর্তাদের শাস্তি দেবে।
ভাইচুং ভুটিয়া: ভারতীয় ফুটবলে কালো দিন। সে দিন কর্মকর্তারা কিছু না ভেবেই হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। টিম তুলে নেওয়ার ঘটনা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। সমর্থকদের কথা ভেবে সবচেয়ে বেশি দুঃখ হচ্ছে।
সৈয়দ নইমউদ্দিন: যে ক্লাব মাঠের ভিতরে খেলোয়াড়ি মনোভাব দেখাতে পারে না, তাদের আই লিগ কেন কোনও টুর্নামেন্টেই খেলার অধিকার নেই। আমি জানি না সে দিন কার পরামর্শে দল তুলে নিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু কোচ কেন প্রতিবাদ করল না? করিমের উপর যদি চাপও সৃষ্টি করা হয়, তা হলে ও সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করল না কেন? আই লিগে মোহনবাগান নেই। ভাবলেই চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসছে।
সুভাষ ভৌমিক: আইন সবার জন্য এক। ফেডারেশন মোহনবাগানকে শাস্তি দিয়ে কোনও ভুল করেনি।
|
তিন গোলে হার র্যান্টিদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আই লিগে পরপর দু’টো ম্যাচ হারতেই মনোবিদের খোঁজ শুরু করে দিলেন ইউনাইটেড কর্তারা। সতেরো কোটির দলে কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা বুঝতে পারছেন না কোচ এলকো সাটোরিও। আর হয়তো সে জন্যই শনিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে র্যান্টিদের ১-৩ হার দেখে মাঠেই কেঁদে ফেললেন ডাচ কোচ। কিন্তু তাতেও কি বধোদয় হবে ফুটবলারদের? চোটের অজুহাত দেখিয়ে এ দিনও খেললেন না বিশ্বকাপার কার্লোস হার্নান্ডেজ। কর্তারা ভিতরে ভিতরে ক্ষুব্ধ হলেও, তাঁকে খেলার জন্য জোর দিতে পারছেন না। কিন্তু অন্তরালে প্রশ্ন উঠছে, র্যান্টি চোট নিয়ে খেলতে পারলেন কার্লোস পারবেন না কেন? বেলো রাজাকের অনুপস্থিতিও ভোগাচ্ছে ইউনাইটেডকে। শনিবারের ম্যাচেও রক্ষণে অনুপমদের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে স্পোর্টিং দু’মিনিটের মধ্যেই গোল করে ফেলে। পেনাল্টিতে কালুর গোল। মিনিট দশেকের মধ্যে র্যান্টি ১-১ করলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। সুব্রত পালের ভুলে আরও দুই গোল হজম করতে হয়।
|
রবিবারে আই লিগ
ইস্টবেঙ্গল : অ্যারোজ
(কল্যাণী, ২-০০)। |