• ১৯৭৫ আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৫ গোল হজম। আত্মহত্যা এক সমর্থকের।
• ১৯৮০ কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচে মারপিট দু’দলের বিদেশ বসু ও দিলীপ পালিতের। ইডেনে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ১৬ ফুটবলপ্রেমীর।
• ১৯৮৯ কলকাতা লিগে মোহনবাগান-এরিয়ান ম্যাচে ফুটবলারদের হাতে মার খেলেন রেফারি প্রদীপ নাগ। এই ঘটনায় জরিমানা করা হয় সুব্রত ভট্টাচার্য ও শিশির ঘোষকে।
• ২০০৮ কলকাতা লিগে মোহনবাগান-ইউনাইটেড স্পোর্টস ম্যাচের পর ক্লাব তাঁবুতেই নিগৃহীত ইউনাইটেড কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য।
• ২০১১-১২ প্রথম ভারতীয় দল হিসাবে আইএফএ শিল্ড প্রথম জয় মোহনবাগানের। সেই জয়ের শতবর্ষে শিল্ড না খেলে দল তুলে নেন মোহনবাগান কর্তারা।
|
|
অশোককুমার
গঙ্গোপাধ্যায় |
নজিরবিহীন শাস্তি যাঁর হাতে হল, সুপ্রিম কোর্টের সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় কট্টর সবুজ-মেরুন সমর্থক। তাঁর বাবা মনোহর গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন ধীরেন দে-র আমলে ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্য। বাবার হাত ধরে এক সময় ক্লাবের পতাকা নিয়ে নিয়মিত খেলা দেখতে যেতেন বর্তমানে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। খিদিরপুরের কবিতীর্থ পার্কে তাঁর বাড়ির সবাই মোহনবাগানপ্রেমী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। বিচারপতি হিসেবে অবশ্য প্রিয় দলকেও রেয়াত করেননি অশোকবাবু। টু জি মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলা সামলেছেন সুপ্রিম কোর্টে। এ বার মোহনবাগানপ্রেমী হয়েও তিনি তাঁর প্রিয় ক্লাবকে নির্বাসনে পাঠানোর রাস্তা তৈরি করে দিলেন। জানিয়ে দিলেন, দল তুলে নিয়ে আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছেন ক্লাব কর্তারা।
|
শনিবার দুপুরে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে গিয়ে দেখা গেল, রবিবারের অ্যারোজ ম্যাচের পাশাপাশি মোহনবাগানের শাস্তি নিয়েও প্রচণ্ড আগ্রহ কোচ-ফুটবলারদের। লাল-হলুদ কোচ ট্রেভর মর্গ্যান যেমন বলছিলেন, “দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। অন্য ক্লাবগুলো এ রকম ঘটনা ঘটানোর আগে দশ বার ভাববে। আমার এখনও মনে হয়, সে দিন দল তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। সমর্থকদের বঞ্চিত করা হয়েছে।” কোচের সুরেই এডে চিডি টিম বাসে ওঠার আগে বলে গেলেন, “ভারতীয় ফুটবলে একটা কালো দিন। দল তুলে নেওয়ার ব্যাপারটা এখনও বিশ্বাস হয় না। মোহনবাগান ভুল করেছিল। আর কোনও একজনের জন্য আইন বদলানো যায় না।” |