ক্যাচ পড়ার ভূত শেষ ম্যাচেও ছাড়ল না ঋদ্ধিমানদের। সেই চেনা ছবি। বোলাররা উইকেট তুললেও ক্যাচ ফেলার সুযোগ কিছুটা হলেও কাজে লাগিয়ে ম্যাড়ম্যাড়ে রঞ্জি ম্যাচে প্রথম দিনের শেষে নয় উইকেট হারিয়ে রেলওয়েজের রান ২১৪।
গোটা ম্যাচে তিন বার ক্যাচ পড়ল বাংলার ফিল্ডারদের হাত গলে। না হলে অনেক আগেই থেমে যায় সঞ্জয় বাঙ্গারদের ইনিংস।
এ দিন টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলা অধিনায়ক ঋদ্ধি। দিনের শুরুতেই ইরেশ সাক্সেনার বলে অমিত পাউনিকরকে সিলি পয়েন্টে ফেললেন রোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। রেল ওপেনার তখন ২৪ ব্যাটিং। দশ রান পরে দ্বিতীয় স্লিপে অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালার হাত গলে ফের জীবন পেলেন পাউনিকর। শেষমেষ করে গেলেন হাফসেঞ্চুরি। আর ম্যাচের শেষ লগ্নে বীরপ্রতাপের বলে কৃষ্ণকান্ত উপাধ্যায়কে দ্বিতীয় স্লিপে ছাড়লেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। যদিও বাংলা অধিনায়ক মানতে নারাজ তিন ক্যাচ ফেলার মাশুল হিসাবে দু’শোর ঘরে গিয়েছে রেলের রান। তাঁর কথায়, “একমাত্র সুদীপের ক্যাচটাই সহজ সুযোগ ছিল।” |
লাইন-লেংথ ঠিক রেখে ছন্দে দুই পেসার সৌরভ সরকার (৩-৬২), শিবশঙ্কর পাল (২-৫১)। তবু এরই মাঝে বাঙ্গারের রেল সাধ্যমত লড়াই দিল ওপেনার পাউনিকর এবং শেষ লগ্নে মুরলী কার্তিকের ব্যাটে (৪৮) ভর করে।
সল্টলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ব্যাটিং সহায়ক পিচে শিবপ্রসাদ শুক্লকে সঙ্গী করে শুরুটা ভালই করেছিলেন পাউনিকর। কিন্তু ৮৫ রানের মাথায় তিনি আউট হতেই ধস মিডল অর্ডারে। মাত্র চল্লিশ রানের ব্যবধানে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে। সেই ঝটকা সামলে কর্ণবিনোদ শর্মাকে (৩২) জুটি বানিয়ে ৬৮ রান জুড়লেন কার্তিক। শেষ বেলায় শর্মাকে শিবশঙ্কর ফেরাতেই রেলের লড়াই শেষ।
বাংলা অধিনায়কের লক্ষ্য, রবিবার ঝটপট রেলকে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে বড়সড় লিড নেওয়া। তাঁর কথায়, “টিকে থাকলে রান আসবেই।”
যাঁর হাত থেকে অধিনায়কের ব্যাটন ঋদ্ধির হাতে, সেই লক্ষ্মীরতন শুক্ল এ দিন ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন। হাতে ব্যান্ডেজ। মাঠ ছাড়ার আগে তিনিও বলে গেলেন, “বিপক্ষ কে, সেটা না ভেবে ফোকাস ঠিক রেখে ব্যাট করলেই কাজ হয়ে যাবে।”
পয়েন্ট টেবলে নিজেদের ভদ্রস্থ যায়গায় রাখতে আগামী তিন দিনে সেই কাজটাই সারতে হবে রোহন-অভিষেকদের।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রেলওয়েজ ২১৪-৯ (পাউনিকর ৫০, মুরলী কার্তিক ৪৮, সৌরভ সরকার ৩-৬২, শিবশঙ্কর পাল ২-৫১)। |