টুকরো খবর |
মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত আরও ১
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
২০০৬ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। মধ্যপ্রদেশের ইনদওর জেলার হাটোড এলাকা থেকে মোহন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে তারা। আগে ন’জনকে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ ও সিবিআই। এনআইএ সূত্রে খবর, সমঝোতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় রাজেশ চৌধুরি নামে এক ব্যক্তিকে। তাকে জেরা করেই এনআইএ কর্তারা মোহনের কথা জানতে পারেন। ২০০৬ সালে মাঁলেগাও বিস্ফোরণে ৩৫ জন নিহত হয়েছিলেন।
|
সন্তান না হওয়ায় শিশুচুরির অভিযোগ |
শিশু চুরির অভিযোগে এক চিকিৎসক ও তাঁর সঙ্গে যুক্ত এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শহরের এক সরকারি হাসপাতালের ঘটনা। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রেমা মারি। সে বাণী বিলাস হাসপাতালে এক নবজাতকের মায়ের সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাঁকে চা আনতে পাঠায়। নবজাতকের মা চা আনতে গেলে সুযোগ বুঝে শিশুটিকে নিয়ে পালায় প্রেমা। প্রেমা জানিয়েছে, যে তার নিজের একটা সাত বছরের মেয়ে আছে। মেয়ে জন্মানোর পর আর সন্তান হচ্ছিল না প্রেমার। কিন্তু এ কথা সে তার দ্বিতীয় স্বামীকে বলতে পারেনি। তাই সে দীর্ঘ ন’মাস অন্তঃসত্ত্বা থাকার নাটক করে। ন’মাসের পর এই শিশুটিকে চুরি করে এক নাসিংহোমের চিকিৎসককে ৩০০০ টাকা দিয়ে ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করায়। তার পর স্বামীর কাছে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দেয়।
|
ফের তেলেঙ্গানা বন্ধ |
পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিতে শনিবার আবার বন্ধ পালন করলেন তেলেঙ্গানা সমর্থকেরা। নানা জায়গায় বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। কেন্দ্রের টালবাহানায় ক্ষুব্ধ হয়ে বন্ধ ডাকে টিআরএস। বিজেপি ও তেলেঙ্গানা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি এই বন্ধ সমর্থন করে। শুক্রবারই এই বিষয়ে দিল্লিতে সর্বদল বৈঠকে হয়েছিল। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। পিছিয়ে দেওয়া হয় কাকতিয়া এবং ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। দোকানপাট ও বাস পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়।
|
সহপাঠীকে ধর্ষণ |
সহপাঠীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলল এক কলেজ ছাত্রী। অভিযুক্তের নাম রবি বর্মা। বয়স কুড়ি বছর। মধ্যপ্রদেশের খারজানা থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায় রবির বিরুদ্ধে অভিযোগ , গত ২৬ ডিসেম্বর রবি তার সহপাঠীকে ধর্ষণ করেছে। সে মেয়েটির একটি অশ্লীল ভিডিও তুলেছে। তার পর রবি মেয়েটিকে হুমকি দিয়েছে, বিষয়টা নিয়ে অভিযোগ করতে গেলে ভিডিওটা সবাইকে দেখিয়ে দেবে।
|
রেলের খাবার |
৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দাম বাড়ছে রেলের খাবারের। আজ, শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আমিষ ‘মিলে’র দাম দাঁড়াচ্ছে ৫০ টাকা। নিরামিষ ‘মিলের’ দাম বেড়ে হচ্ছে ৪০ টাকা। এর সঙ্গে বাড়ছে চা-কফির দামও।
|
শিশুকে ধর্ষণ |
চার বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করল এক যুবক। মধ্যপ্রদেশের কিরণপুর থানার বিরণপুর গ্রামের ঘটনা। অভিযুক্তের নাম সোমেন্দ্র কানোয়ার। পুলিশ জানায়, সোমেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ওই নাবালিকাকে গ্রামের পাশ্বর্বর্তী জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। সোমেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
|
শোকাহত জন্মভিটে |
চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার তরুণীটির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর জন্মভিটে মন্ডওয়ারা কালান গ্রামেও। গ্রামের মানুষেরা চাইছেন কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হোক অভিযুক্তদের। ফাঁসি কাঠে ঝোলানো হোক ছ’জন অভিযুক্তকে। গ্রাম প্রধান শিবমন্দির সিংহ জানান, তরুণীর আত্মার শান্তি কামনায় গ্রামে আয়োজন করা হয়েছে এক শোক সভার। সঠিক বিচার না পাওয়া পর্যন্ত চলবে তাঁদের প্রতিবাদ। ধর্ষিতার দাদু জানান, অনেক কষ্ট করে তাঁকে মানুষ করেছিলেন তাঁর বাবা-মা। লেখাপড়ার খরচ তুলতে বিক্রি করতে হয়েছিল জমিও। আশা ছিল, পড়াশুনা করে মেয়ে পরিবারের দুঃখ ঘোচাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর সত্যি হল না, আক্ষেপ ওই তরুণীর দাদুর।
|
১২ দিনের হেফাজত |
বাসে গণধর্ষণ কাণ্ডে ষষ্ঠ অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুরের ১২ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। গত ২১ ডিসেম্বর গ্রেফতার হয়েছিল সে। ৯ জানুয়ারি তাকে ফের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট লোকেশ কুমার। শনিবারই অক্ষয়ের পুলিশি হেফাজত শেষ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন অভিযুক্ত ছ’জন যে সব পোশাক পরেছিলেন, সেগুলো উদ্ধার করতেই তারা তাকে এক দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল।
|
পাশে বন্ধুর পরিবার |
ধর্ষিতার মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর বন্ধুর পরিবারও। পরিবারের সদস্যেরা চান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হোক খুনের মামলা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফাঁসি হোক ছয় অভিযুক্তের। ১৬ ডিসেম্বর রাতে গণধর্ষণের শিকার তরুণীটির পরিবারের পাশে প্রথম থেকেই থেকেছেন তাঁর বন্ধু যুবকটির পরিবারের সদস্যেরা। তরুণীটির শেষকৃত্যেও পাশে থাকতে চান তাঁরা।
|
শহিদ আখ্যা |
গণধর্ষিতা তরুণীকে ‘শহিদ’ আখ্যা দিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মমতা শর্মা। ওই তরুণীর মৃত্যু প্রসঙ্গে শনিবার মমতা বলেন, “মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য প্রাণ দিতে হল ওই তরুণীকে।” যৌন নিগ্রহ সংক্রান্ত আইন সংশোধনে নাগরিক সমাজ আর সরকারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও অভিমত মমতার।
|
ছেলের শোকও ছাপিয়ে গেল |
তাঁর নিজের ছেলের মৃত্যুতেও এতটা শোক পাননি তিনি, যতটা তিনি পেয়েছেন দিল্লির গণধর্ষিতা তরুণীর মৃত্যুতে। নিজের ব্লগে এ কথা লিখেছেন দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত তরুণ কিনান স্যান্টোসের বাবা ভ্যালারিন স্যান্টোস। গত বছর বান্ধবীদের শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে মৃত্যু হয়েছিল কিনানের। ভ্যালারিন লিখেছেন, “মেয়েটির মৃত্যুর খবর পেয়ে খুবই ভেঙে পড়েছি। নিজের ছেলেকে হারিয়েও এত শোক আমি পাইনি। মেয়েটির পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। প্রিয়জন হারানোর ব্যথা আমি বুঝি। এক বছর হয়ে গেল আমার ছেলে নেই। সেই দুঃখ বয়ে বেড়ানো কী কঠিন, আমি জানি।” সেই সঙ্গেই ভ্যালারিনের অভিযোগ, শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার কোনও উত্তর আসেনি।
|
স্কার্ট নয় |
স্কুলছাত্রীদের স্কার্ট পরায় আপত্তি বিজেপির এক বিধায়কের। আলোয়ারের বিধায়ক বনওয়ারি লাল সিংঘল মনে করেন, স্কার্ট পরে স্কুলে যাওয়ার জন্যই অনেক সময় যৌন হয়রানির শিকার হতে হয় মেয়েদের। তাই তাঁর দাবি, রাজ্যের সব স্কুলে মেয়েদের পোশাক হওয়া উচিত সালোয়ার-কামিজ বা শার্ট-প্যান্ট। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠিও লিখেছেন তিনি। বনওয়ারির বক্তব্য, “আলোয়ারের বিভিন্ন জায়গায় মেয়েরা হয় হেঁটে স্কুলে যায়, নয়তো বাস স্টপে বাসের অপেক্ষা করে। অনেক সময়ই তাদের সেখানে কুরুচিকর মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়। মেয়েদের বিরুদ্ধে অত্যাচার যে হারে বাড়ছে, সে কথা মাথায় রেখেই স্কুলগুলির উচিত স্কার্ট নিষিদ্ধ করা।” এর ফলে প্রচণ্ড শীত বা গ্রীষ্মেও মেয়েরা খানিকটা স্বস্তি পাবেন বলে দাবি বিধায়কের।
|
মানবিক আর্জি |
শনিবার রাতেই সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষ বিমানে আনা হয় ধর্ষিতার মরদেহ। এ দেশেই সম্পন্ন হয় তাঁর শেষকৃত্য। এই মুহূর্তে, তরুণীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তাঁর পরিবার। ব্রডকাস্ট এডিটরস্ অ্যাসোসিয়েশন তাই আগে থেকেই সংবাদমাধ্যমগুলির কাছে আর্জি জানিয়ে রেখেছিলেন, শেষকৃত্য সংক্রান্ত কোনও অনুষ্ঠান যেন সম্প্রচার না করেন তাঁরা।
|
বিশেষ আইনজীবী |
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দয়ান কৃষ্ণাকেই বিশেষ সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করল দিল্লি পুলিশ। কোনও রকম পারিশ্রমিক ছাড়াই এই মামলা লড়তে রাজি হয়েছেন তিনি। জানুয়ারির তিন তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে দিল্লিতে গণধর্ষণের মামলার শুনানি। আশা করা হচ্ছে উপযুক্ত শাস্তি পাবে অভিযুক্তরা। |
|