|
|
|
|
আশঙ্কা অসমে |
মালিক খুনে ধাক্কা খেতে পারে লগ্নি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
চা বাগান মালিক মৃদুলকুমার ভট্টাচার্যের সস্ত্রীক হত্যাকাণ্ড সামগ্রিক ভাবে অসমের শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন চা কর্তারা। ভারতে চা উৎপাদক সংস্থাগুলির শীর্ষ সংগঠন ‘কনসালটেটিভ কমিটি অফ প্লান্টেশন অ্যাসোসিয়েশন’ (সিসিপিএ)-এর চেয়ারম্যান এ এন সিংহ দাবি করেছেন, তিনসুকিয়া-কাণ্ডকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে না দেখে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে ভাবমূর্তি রক্ষা করুক রাজ্য সরকার। যদিও সারা অসম চা জনজাতি ছাত্র সংস্থা (আটসা)-র সভাপতি প্রহ্লাদ গোয়ালা তিনসুকিয়া কোনাপথার বাগানের ওই ঘটনাকে ‘সমষ্টিগত জনরোষের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ’ বলেছেন।
এমনিতেই রাজ্যের চা শিল্পে মন্দা চলছে। গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে জুলাই থেকে অক্টোবর বড়োভূমির সহস্রাধিক চা বাগানে উৎপাদন বন্ধ ছিল। সেই সঙ্গে বৃষ্টির অভাব, শ্রমিক অসন্তোষ, জঙ্গি তোলাবাজি চলছেই। গত মাসেই বড়ো জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন তেজপুরের মহালক্ষ্মী চা বাগানের মালিক আদিলুর রহমান।
আজ গুয়াহাটিতে ‘টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’র বার্ষিক সাধারণ সভায় রাজ্যে চা শিল্পের নেতিবাচক অবস্থা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বাগান মালিকদের মতে, উৎপাদনশীলতা কমে আসা ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে ভিয়েতনাম, চিন ও কেনিয়া ক্রমশ পিছনে ফেলছে অসমকে। রফতানি হ্রাস পাচ্ছে। মালিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত নয়। এই পরিস্থিতিতে চা বাগানের প্রবীণ নেতা তথা কেন্দ্রীয় উত্তর-পূর্ব বিকাশ মন্ত্রী পবন সিংহ ঘাটোয়ার বলেছেন, “শিল্পমহলের কাছে এই ঘটনা এক নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে।” সিসিপিএ চেয়ারম্যান এ এন সিংহের বক্তব্য, “মৃদুলবাবুর পরিণতির ফলে অসমে বিনিয়োগের আগে বাইরের সংস্থাগুলি বহু বার ভাববে।” |
|
|
|
|
|