|
|
|
|
মারের ভয়ে জেলে অন্য অংশে সরানো হল অভিযুক্তদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
জেলে যাওয়া ইস্তক অন্য বন্দিদের হাতে একাধিক বার মার খেয়েছে দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তরা। যে খবর প্রকাশ্যে আসার পরে কেউ কেউ বলেছিলেন, রাজপথের গণবিক্ষোভের আঁচ পড়েছে তিহাড় জেলেও। চলন্ত বাসে ছাত্রীর উপরে নৃশংস অত্যাচার চালানো লোকগুলিকে সহ্যই করতে পারছেন না অন্য বন্দিরা। আজ ওই তরুণীর মৃত্যুর খবর জানার পর বন্দিরা ফের ক্ষেপে উঠতে পারেন বলে আশঙ্কা করেন জেল কর্তৃপক্ষ। তখনই অভিযুক্তদের সরিয়ে দেওয়া হয় জেলের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ অংশে।
অভিযুক্ত ছ’জনের মধ্যে ঠিক কত জন তিহাড়ে রয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট জানা যায়নি। এক অভিযুক্ত অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে পাঠানো হয়েছে কিশোর সংশোধনাগারে। সব শেষে গ্রেফতার হওয়া অক্ষয় ঠাকুরকে ১২ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। অক্ষয়ের কাছ থেকেই উদ্ধার হয় ওই তরুণীর মোবাইল ও তাঁর বন্ধুর এটিএম কার্ড।
গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ সবার আগে গ্রেফতার করেছিল বাসটির চালক রাম সিংহকে। তিহাড়ের তিন নম্বর সেলে রাখা হয়েছিল রাম সিংহকে। বাকিরা ছিল চার ও সাত নম্বরে সেলে। সূত্রের খবর, গত সোমবার তিন নম্বর সেলের অন্য বন্দিরা রাম সিংহকে ব্যাপক মারধর করে। মার খায় আর এক অভিযুক্ত মুকেশও। ফলে আজ আর অভিযুক্তদের অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখার সাহস করেননি জেল কর্তৃপক্ষ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে এত দিন পর্যন্ত খুনের চেষ্টা, গণধর্ষণ, প্রমাণ লোপাট, ডাকাতি, অপহরণের মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। আজ খুনের মামলাও রুজু করা হয়। দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) ধর্মেন্দ্র কুমার বলেন, “৩ জানুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করার চেষ্টা হচ্ছে। ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে যাতে প্রতি দিন ওই মামলার শুনানি হয়, সে জন্য এক জন বিচারপতিও নিয়োগ করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্যই হবে অভিযুক্তদের কঠোরতম সাজা দেওয়া।” বিদেশ মন্ত্রকের কাছে দিল্লি পুলিশ আবেদন জানিয়েছে, যাতে নিহত তরুণীর ময়না-তদন্তের রিপোর্ট সিঙ্গাপুর থেকে দ্রুত আনার ব্যবস্থা করা হয়। |
|
|
|
|
|