ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বাগান লাগোয়া জমির পাট্টা চা শ্রমিকদের হাতে
বাগান লাগোয়া সরকারি জমি চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের হাতে তা তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার ডুয়ার্সের চা বলয়ের নাগরাকাটায় সরকারি অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অধিকাংশ চা বাগান বেসরকারি মালিকের হাতে। সেখানকার চা শ্রমিকদের বসবাসের জন্য নিজের জমি নেই। সে কথা ভেবেই আমরা চা বাগানগুলির আশপাশে থাকা প্রায় ৫০০ একর সরকারি জমি চিহ্নিত করেছি। ওই জমি থেকে চা শ্রমিকদের তিন কাঠা করে দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে আট হাজার জনকে তা দেওয়া হবে। ‘নিজভূমি নিজগৃহ’ প্রকল্পের আওতায় এটি করা হবে।” আগামী বছরের মধ্যে ওই পাট্টা বিলি হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস।

শুক্রবার নাগরাকাটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র
চা শ্রমিকরা বাগানে কর্মরত থাকলে মালিকপক্ষ বসবাসের যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেন। অবসর নিলে চা শ্রমিকরা সমস্যায় পড়েন। সে জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। সরকারি সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই বিভিন্ন জেলায় জমি সমীক্ষার নির্দেশ দেন। তখনই জলপাইগুড়িতে সমীক্ষায় জানা যায় জেলার বিভিন্ন চা বাগান লাগোয়া সরকারি জমির পরিমাণ প্রায় ৫০০ একর। তবে এই জমি পুরোটা ফাঁকা রয়েছে কিনা সেটিই সব চেয়ে বড় প্রশ্ন।
শুধু তাই নয়, সরকারি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জেলায় বড় এবং মাঝারি মিলিয়ে প্রায় ৫০০টি চা বাগান রয়েছে। তার মধ্যে ১০০টি চা বাগানেক কাছেপিঠে ফাঁকা সরকারি জমি রয়েছে। একই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের অন্যত্র জমি দিলে তাঁরা যেতে রাজি হবেন না কি না সেই প্রশ্নও রয়েছে। কারণ, ‘নিজভূমি-নিজগৃহ’ প্রকল্পে দক্ষিণবঙ্গে প্রাপকদের অনেকেই বর্তমান বসতি এলাকা থেকে আট-নয় কিলোমিটার দূরে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ায় যেতে চাইছেন না। তা হলে বংশপরম্পরায় এক জায়গায় থাকতে অভ্যস্ত চা শ্রমিকরা অন্যত্র জমি দিলে যাবেন বলে মনে করছেন না চা বাগান মালিকদের অনেকেই। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, জমি চিহ্নিত হওয়ার পরে প্রাপককে তাঁর পুরানো বাগানের কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করা হবে।
ছবি: সন্দীপ পাল।
তরাই-ডুয়ার্সের মালিক সংগঠনের তরফে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। যদিও সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “পঞ্চায়েতে নির্বাচনের প্রাক্কালে এ সব ঘোষণা চমক ছাড়া কিছু নয়। ৫০০ একর খাস জমি কোথায় রয়েছে সেটা প্রকাশ্যে জানানো হোক। না হলে গরিব চা শ্রমিকদের প্রলোভন দেখানো হয়ে যাবে।” সিপিএমের অভিযোগকে কুৎসা বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা এসজেডিএ সদস্য চন্দন ভৌমিক। তিনি বলেন, “ওঁরা ৩৫ বছরে যা নিয়ে ভাবেননি। মুখ্যমন্ত্রী তা করে দেখাচ্ছেন। সে জন্যই সিপিএম কুৎসা করছে।”
এ দিন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সহযোগী জন বার্লা ও তাঁর অনুগামীরা মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেন। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতাদের অবশ্য মঞ্চের কাছেপিঠে দেখা যায়নি। পরিষদের নেতা তেজকুমার টোপ্পো জানান, তাঁরা জানুয়ারিতে কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেবেন।
নাগরাকাটায় প্রতিশ্রুতি
বৃদ্ধ, নিরাশ্রয় চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা
শীঘ্রই আলিপুরদুয়ারকে নতুন জেলার স্বীকৃতি
জলপাইগুড়িতে সর্কিট বেঞ্চের
স্থায়ী ভবন তৈরির দ্রুত প্রক্রিয়া
বানারহাট ও বিন্নাগুড়িতে হিন্দি কলেজ
নাগরাকাটায় ছাত্রী আবাস
মেটেলি ও কালচিনিতে হিন্দি মাধ্যমের হাইস্কুল
ডাবগ্রামে নতুন ক্ষুদ্র শিল্প তালুক
রাজগঞ্জে প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ সেক্টর
রাজগঞ্জ, নাগরাকাটা, ধূপগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার
২ ব্লকে চট এবং বাঁশজাত দ্রব্য তৈরির ক্ষুদ্র শিল্প তালুক
পাহাড়পুর ও জলঢাকায় বস্ত্র শিল্পের ক্লাস্টার
আমবাড়ি ফালকাটায় শিল্পকেন্দ্র
চুমুকডাঙা ও চালসায় পর্যটনকেন্দ্র
চালসায় দক্ষ কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
এবং তিরন্দাজি আকাদেমি
ধূপগুড়িতে মহিলা কলেজ
আলিপুরদুয়ারে শিল্প তালুক
জেলার পর্যটনে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.