|
|
|
|
বৃদ্ধাকে ছেলের কাছে পাঠাল পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে লাঠি হাতে ভরদুপুরে থানার সামনে হাজির অশীতিপর এক বৃদ্ধা। পুলিশকর্মীদের তিনি বললেন, “আমার থাকার জায়গা নেই। ছেলে ঘর থেকে বের করে দেওয়ায় ভিক্ষে করে খাই। তোমরা আমার থাকার একটু ব্যবস্থা করে দাও বাবা।”
শুনে মায়া হয় বসিরহাট থানার পুলিশকর্মীদের। তাঁরা জানতে চান, বৃদ্ধার ছেলে থাকে কোথায়? কেন বের করে দিয়েছে বাড়ির বাইরে? শিবানী সরকার ঠিকানা দেন ছেলের। সেই মতো পুলিশ গিয়ে হাজির হয় দন্ডিরহাটে শিবানীদেবীর ছেলে শচিনের বাড়িতে।
তাঁর আর্থিক অবস্থা বিশেষ সুবিধের নয়। ঘরামির কাজ করেন। মাঝে মধ্যে ভ্যান টানেন। গান-বাজনারও শখ আছে। শচিন পুলিশকে জানান, একে টাকা-পয়সা নেই। তার উপরে নিজে ঘরজামাই থাকেন। মায়ের সব শখ-আহ্লাদ পূর্ণ করতে পারেন না। তাই মা মাঝে মধ্যে ভিক্ষে করতে বেরোন। |
|
ছবি: নির্মল বসু। |
পুলিশকর্মীরা ঈষৎ ধমকে শচিনকে বলে এসেছেন, ভবিষ্যতে যেন বৃদ্ধা মাকে এ ভাবে বাড়ির বাইরে না পাঠান শচিন। তাঁর যত্নের যেন ত্রুটি না হয়। মাথা নাড়িয়ে সব কথায় ‘হ্যাঁ’ বলেছেন ওই ব্যক্তি। সেই ভরসাতেই পুলিশ শিবানীদেবীকে রেখে এসেছে ছেলের কাছেই।
তার আগে থানায় মাছ-ভাত-মিষ্টি খাওয়ানো হয় বৃদ্ধাকে। গাড়ি করে পৌঁছেও দেন পুলিশকর্মীরা। তাতেই খুশি বুড়ি।
বসিরহাটের আইসি শুভাশিস বণিক বলেন, “প্রথমে মনে হয়েছিল বয়সের ভারে অশক্ত বৃদ্ধা এত ঠান্ডায় আরও কাহিল হয়ে পড়েছেন। ঠিক মতো সব কিছু বলতে পারছেন না। পরে তাঁর বাড়ি গিয়ে জানা যায়, ছেলে-বউমা, নাতি আছে। তাদের বুঝিয়ে বৃদ্ধাকে বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ছেলেকে বলা হয়েছে, অসুবিধা হলে যেন থানায় খবর দেয়। এ ভাবে মাকে একা বাড়ির বাইরে যেন না ছাড়ে।” |
|
|
|
|
|