৬৪টি আসন ‘পাখির চোখ’,
জানুয়ারিতে প্রচারে সিপিএম
ঞ্চায়েত ভোট আসছে।
গত বারে জেলা পরিষদ-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছিল বামেদের। এ বার তৃণমূলের পালের সেই হাওয়া কাড়তে জানুয়ারি মাস থেকেই জেলা জুড়ে প্রচার অভিযানে নেমে পড়ছে সিপিএম। এ বার ৭৩ থেকে বেড়ে জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা হয়েছে ৮১। তার মধ্যে ৬৪টি আসনকে ‘পাখির চোখ’ করেছেন জেলা সিপিএমের ভোট ম্যানেজাররা। তাঁদের মতে, জেলায় প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া এ বার অনেক জোরালো। সেই কারণে ওই ৬৪টি আসনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রচার অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জেলায় প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়াকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ‘অপশাসন’ এবং ‘দুর্নীতি’কেও হাতিয়ার করতে চায় সিপিএম। তাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এবং গৌতম দেবের মতো প্রথম সারির নেতাদের সামনে রেখে ইতিমধ্যেই জেলার নানা অঞ্চলে ৮টি জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সিপিএম। তারা মনে করছে, ৬৪টির মধ্যে অন্তত ৫০টি আসনেও জেতা গেলে এ বার জেলা পরিষদ থেকে তারা তৃণমূলকে সরিয়ে দিতে পারবে।
তবে, কোন ৬৪টি আসনকে বাছা হয়েছে, তা এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না সিপিএমের জেলা নেতারা।
পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও জানুয়ারি থেকেই প্রচারে নেমে পড়ার কারণ হিসেবে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, “ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাইক বাজিয়ে জনসভা করা যাবে না। আর চট দিয়ে ঘিরে বড় জনসভা করা সম্ভব নয়। তাই পরীক্ষার আগেই বড় সভাগুলি করা হচ্ছে। পরীক্ষার পরে পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক করে সাধারণ মানুষকে একজোট করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
জেলা সিপিএমের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের পালে হাওয়া নেই। তৃণমূল পরিচালিত বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতে দুর্নীতির পাহাড় জমে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তা ছাড়া, বাম আমলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। সাধারণ মানুষ উন্নয়নের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গত দেড় বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার জেলা সফরে এসে প্রশাসনিক বৈঠকের পর জনসভায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু সে সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। এ সব কথাই প্রচারে তুলে ধরা হবে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, “নানা ভাবে শাসক দলের কর্মীদের তোলাবাজি ও সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ায় তৃণমূল জেলায় এখন কোনঠাসা। এসইউসি-র সঙ্গেও আসন্ন ভোটে তৃণমূলের জোট হচ্ছে না ধরে নেওয়া যায়। অবাধ নির্বাচন হলে তৃণমূলের অবস্থা কাহিল হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.