সম্মতিনগরে কন্যাকে খুন, গ্রেফতার বাবা
ন্যাকে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। সম্মতিনগর দক্ষিণ ঝিয়াপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবকের দুই কন্যা আলো দাস ওরফে নেহা (৭) ও জ্যোতির কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে

নেহা
না গত দু’দিন ধরে। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ভাগীরথী থেকে নেহার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই যুবকের স্ত্রী কণিকা দাস অভিযোগ করেছেন, “আমার দুই মেয়েকেই খুন করেছে আমার স্বামী। পুলিশকে আমি সেই অভিযোগ করেছি।” এরপরেই তাঁর স্বামীকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তারপরে সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবক বছর দেড়েক আগেও একবার দুই কন্যাকে পুড়িয়ে খুন কারর চেষ্টা করেছিলেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে প্রায়ই মারধর, চিৎকার-চেঁচামেচি লেগে থাকত। কণিকাদেবীর স্বামী হাতুড়ে চিকিৎসক। তিনি প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে গণ্ডগোল পাকাতেন। কণিকাদেবীর কথায়, “২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হয় আমার উপরে মারধর। অতিষ্ঠ হয়ে বড় ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে পাশের গ্রাম তেঘরিতে পিসিমার বাড়ি চলে যাই।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সেই রাতেই তেঘরিতে যান ওই যুবকও। কিন্তু সেই সময়ে কণিকাদেবী ছিলেন না। দুই মেয়ে আলো ও জ্যোতিকে সঙ্গে নিয়ে ওই যুবক তখন সম্মতিনগরের বাড়িতে ফিরে যান। ২১ ডিসেম্বর সকালেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছে না তাঁর দুই কন্যার। ওই যুবকের মা বলেন, “দুই মেয়েকে নিয়ে লালগোলায় মামার বাড়ি যাচ্ছি বলে ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল।” প্রতিবেশী অনিকুল বিবি বলেন, “প্রতিদিন সকালেই গঙ্গাস্নান করতেন ওই যুবক। সেই দিনও ওই পথেই তিনি গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই মেয়েও।”
কন্যার মৃত্যুর পরে কণিকাদেবী। —নিজস্ব চিত্র।
কণিকাদেবীর ভাই কৌশিক সরকার বলেন, “তেঘরি থেকে জামাইবাবু নিজেই তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে আসেন। পরের দিন দুপুরে তেঘরিতে গিয়ে বলেন দুই মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তারপরে খোঁজ করতে শুরু করি। কিন্তু কাউকেই পাইনি।” তারপরে নেহার দেহ ভেসে ওঠে। ওই যুবক অবশ্য দাবি করেছেন, “আমি মেয়েদের খুন করিনি। ওরা বাড়ির সামনে খেলছিল। তারপর থেকেই ওদের আর দেখতে পাইনি। আমিও ওদের অনেক খুঁজেছি।” মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, “নিখোঁজ দুই মেয়ের এক জনের দেহ ভাগীরথী থেকে পাওয়া গিয়েছে। ছোট বোনের খোঁজ চলছে। বাবাই মেয়েকে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.