|
|
|
|
অভিযুক্ত তৃণমূল |
হলদিয়ার শ্রমিক ভবনে হামলা চালিয়ে তালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ফের হলদিয়ার শ্রমিক ভবনে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চিরঞ্জীবপুরে সিটুর ওই কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ‘কলকাতা পোর্ট ও শোর মজদুর ইউনিয়নে’র সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক চলছিল। অভিযোগ, সেই সময়ই তৃণমূলের ৫০-৬০ জন কর্মী-সমর্থক হামলা চালিয়ে বাম শ্রমিক-নেতাদের মারধর করেন। আসবাবপত্রে ভাঙচুর চালিয়ে তৃণমূলের লোকেরা সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের পুরনো এই বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে তালা ভাঙে শ্রমিক ভবনের।
বন্দর থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পণ্য খালাসকারী সংস্থা ‘এবিজি’ চলে যাওয়ার জন্য তৃণমূলকে দুষে বারবার সরব হয়েছে কলকাতা পোর্ট ও শোর মজদুর ইউনিয়ন। সেই রাগেই তৃণমূলের লোকেরা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ এই শ্রমিক সংগঠনের। |
ভাঙচুরের পরে সিটু কার্যালয়। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
মজদুর ইউনিয়নের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি অবিনাশ দাসের কথায়, “আমাদের অফিসে আগেও বহু বার হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। ইদানীং বন্দরের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সরব হয়েছি। সেই রাগে অসীম সূত্রধর, শ্যামল আদকরা দুষ্কৃতী পাঠিয়ে অফিসে ভাঙচুর করেছে।” শুক্রবার দুপুরে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত বন্দরের শ্রমিক সংগঠনের নেতা অসীম সূত্রধর, তৃণমূল নেতা শ্যামল আদক, হারাধন বোয়াল-সহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন অবিনাশবাবু।
অভিযোগ উড়িয়ে অসীম সূত্রধর বলেন, “ওরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। হারানো জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে ওরা।”
আটের দশক থেকে শিল্পশহরে ‘বামেদের মুখ’ এই শ্রমিকভবন। প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা সিটু নেতা লক্ষ্মণ শেঠ থাকতেন এখানে। ২০০৮ সালের পর লক্ষ্মণ শেঠ ঠিকানা বদলে ক্ষুদিরামনগরের জোনাল কার্যালয়ে চলে যান। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মণ শেঠের পরাজয়ের পর থেকে এখনও পর্যন্ত চার বার এই কার্যালয়ে লুঠপাট ও হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জীর্ণ দশায় ধুঁকতে থাকা সিটুর এই কার্যালয়ে মাস ছ’য়েক হল আনাগোনা বাড়ছিল লোকজনের। বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করতে সিটু অনুমোদিত শোর মজদুর ইউনিয়নের সদস্যরা কার্যালয়ে হাজির হন। অভিযোগ, সেই সময়ই তৃণমূলের জনা পঞ্চাশেক কর্মী-সমর্থক চড়াও হয়ে শ্রমিক ভবন বন্ধ করে দিতে বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় ভাঙচুর চালিয়ে নিজেরাই তালা ঝুলিয়ে দেন।
এক দিন কেটে গেলেও হামলার বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক চন্দন ঘোষের। ধরা পড়েনি কেউ। |
|
|
|
|
|