রেলওয়েজের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির শেষ ম্যাচে বোনাস-সহ সাত পয়েন্ট তুলে নিলেও নকআউটের রাস্তা খোলার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি আগেই চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন। তাঁর পরিবর্ত অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লেরও চোট। তাঁকে পাওয়া যাবে না শেষ ম্যাচে। লক্ষ্মীর জায়গায় দলে যিনি এসেছেন, সেই শিবশঙ্কর পাল নিজেই মনে করতে পারছেন না শেষ কবে বাংলার জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন!
সব মিলিয়ে রঞ্জি অভিযানের শেষ লগ্নে মোটেই মধুরেণ সমাপয়েৎ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বাংলার। শনিবার থেকে শুরু ম্যাচটা বরং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাংলার বিপক্ষের কাছে। বোনাস পয়েন্ট নিয়ে জিততে পারলে নকআউটে যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার। ছ’পয়েন্ট পাওয়া গেলেও অঙ্কের লড়াইয়ে টিকে থাকার সম্ভাবনা থাকছে সঞ্জয় বাঙ্গারদের সামনে। ম্যাচ শুরুর চব্বিশ ঘণ্টা আগে দু’দলের অবস্থান একেবারেই উল্টো মেরুতে। এক দিকে রঞ্জির অভিজ্ঞ সৈনিক বাঙ্গার বলছেন, “আমাদের নকআউটে ওঠার লড়াই এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব।” অন্য দিকে বাংলার সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার শিবশঙ্করের মন্তব্য, “শেষ কবে রঞ্জি খেলেছি? কী জানি! আমার মনে পড়ছে না!” |
শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে অবশ্য শিবশঙ্করের বল করা প্রায় নিশ্চিত। তিন পেসার-এক স্পিনারই খেলাতে চলেছে ঋদ্ধিমান সাহার বাংলা। সে ক্ষেত্রে শিবশঙ্করের সঙ্গে থাকতে পারেন বীরপ্রতাপ সিংহ এবং সৌরভ সরকার। স্পিন বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন ইরেশ সাক্সেনা। তাঁদের সামনে লড়াই এখন টিমকে নকআউটে তোলা নয়, অবনমনের গ্রুপ ‘সি’-তে নেমে যাওয়া আটকানো। গত বারের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান এবং হায়দরাবাদের সঙ্গে বাংলা এখন গ্রুপ ‘এ’-র তলানিতে। তিন দলের মধ্যে যারা সবচেয়ে কম পয়েন্ট নিয়ে শেষ করবে, তারা চলে যাবে গ্রুপ ‘সি’-তে। |