ইয়র্কার দিতে পারে, বাউন্সার দিতে পারে। পেসে বৈচিত্র রয়েছে। ১৪০ কিলোমিটারেও যেমন বল করতে পারে, স্লোয়ারও দিতে পারে। তা হলে ওকে আদর্শ ডেথ বোলার বলব না কেন? শুক্রবারের ম্যাচেই তো আর এক বার দেখা গেল শেষ দিকে দিন্দাকে মারতে কতটা সমস্যায় পড়েছে পাক ব্যাটসম্যানরা।
|
ওর বোলিং অ্যাকশনটার মধ্যেই একটা ভীষণ আক্রমণাত্মক ব্যাপার আছে, যেটা ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে দেয়। মার খেয়েও নিজের আগ্রাসী মানসিকতাটা ধরে রাখতে পারে দিন্দা। উইকেট নেওয়ার চেষ্টাটা চালিয়ে যায় সব সময়।
|
ডেথ বোলিংয়ে সে-ই সফল হতে পারে, যার কলজেটা আছে। আপনাকে সাহস করে ঠিক ব্যাটসম্যানের জন্য ঠিক ডেলিভারিটা বার করে আনতে হবে। কখনও স্লোয়ার, কখনও বাউন্সার, কখনও লো ফুলটস। দিন্দা এই বলগুলো ঠিকঠাক করতে পারে।
|
সামান্য সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগানোর জন্য মরিয়া হয়ে থাকে। তাই ধোনি যখন শেষ দিকে ওর হাতে বল তুলে দিয়েছে, একটুও ঘাবড়ে যায়নি। কয়েক দিন আগেই ইয়ন মর্গ্যান ওকে শেষ বলে ছয় মেরে জিতিয়েছিল। কিন্তু তাতে দিন্দা ভেঙে পড়েনি। বরং সুযোগের অপেক্ষায় ছিল ভুল শুধরানোর। মোতেরায় দেখা গেল ভুল থেকে ঠিক শিক্ষাটা নিয়েছে। |
ডেথ ওভারে দিন্দা
২-০-১২-৩ |
শিকার
উমর আকমল, মহম্মদ হাফিজ, কামরান আকমল |
|
সব শেষে বলি, টি-টোয়েন্টি বা এক দিনের ম্যাচের বোলার হিসাবে দিন্দাকে চিহ্নিত করে ফেললে হবে না। ছেলেটা আউট সুইং করে, রিভার্স সুইং করাতে পারবে। দিন্দা কিন্তু লম্বা রেসের ঘোড়া। আগামী দিনে টেস্টের আদর্শ ওপেনিং বোলিং জুটি হতে পারে দিন্দা-উমেশ যাদব। |