|
|
|
|
শহরে পাঁচটি অটো স্ট্যান্ডের সিদ্ধান্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শহরের যেখানে-সেখানে অটো দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলার অভিযোগ বহুদিনের। ফলে প্রায়শই লেগে থাকে যানজট, সমস্যায় পড়েন পথচলতি সাধারণ মানুষ। অটো দৌরাত্ম্য রুখতে এ বার তাই শহরের পাঁচ জায়গায় অটো স্ট্যান্ড গড়তে উদ্যোগী হল প্রশাসন। শুক্রবার মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত’র দফতরে এক বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ছিলেন বিধায়ক মৃগেন মাইতি, পুরপ্রধান প্রণব বসুও। আগেই জেলা পরিবহণ আধিকারিক, ডিএসপি (ট্রাফিক) এবং মেদিনীপুরের পুরপ্রধান- এই তিন প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি কমিটি গড়া হয়েছিল। এ দিনের বৈঠকে সেই কমিটি তাদের প্রস্তাব পেশ করে এবং তা অনুমোদিত হয়। মহকুমাশাসক বলেন, “পাঁচ জায়গায় অটো স্ট্যান্ড তৈরির প্রস্তাব এসেছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। বৈঠকে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” |
এসডিও অফিসে চলছে বৈঠক।—নিজস্ব চিত্র। |
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, মেদিনীপুর শহরের কেরানিচটি, ধর্মা, আমতলা, অশোকনগর এবং মেদিনীপুর স্টেশনের সামনে অটো স্ট্যান্ড তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে এই তিন সদস্যের কমিটি। এর মধ্যে কেরানিচটিতে ৩০টি অটো থাকবে, ধর্মায় ২০টি, আমতলায় ৫০টি, অশোকনগরে ২০টি এবং মেদিনীপুর স্টেশনের সামনের স্ট্যান্ডে ৫০টি অটো থাকবে। বাকি চার জায়গায় কোনও সমস্যা না থাকলেও মেদিনীপুর স্টেশনের সামনে স্ট্যান্ড তৈরি করা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কারণ, এ ক্ষেত্রে রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। তবে মহকুমাশাসক নিজেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে জেলাশাসক রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ নিয়ে পদক্ষেপ করবেন।
শহরে অটো দৌরাত্ম্য ক্রমেই বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় মাঝপথে দাঁড়িয়ে পড়া তো বটেই একএকটা অটোতে ১০-১২ জন যাত্রী তোলা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী অনেকসময় রুট পারমিটও মানা হয়না। তবে নিয়ম ভেঙে অটো চালানো রুখতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছিল প্রশাসন। এ ছাড়া শহরে দিনের বেলায় বড় গাড়ি ঢোকায় যে যানজট তৈরি হয় তা নিয়ন্ত্রণ করতে আগের প্রশাসনিক বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় যে সকাল ন’টা থেকে দুপুর ১২টা এবং তিনটে থেকে সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে শহরে লরি ঢুকতে পারবে না। নজরদারিও চলে। তবে তার ফাঁক দিয়েই শহরে লরি ঢুকছে বলে অভিযোগ। শুক্রবারের বৈঠকে এই নিয়েও আলোচনা হয়। মহকুমাশাসক বলেন, “ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে। এক মাস পর ফের বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে কাজের অগ্রগতির পর্যালোচনা হবে।” |
|
|
|
|
|