এই প্রথমবার, অসমে বসতে চলেছে আন্তর্জাতিক পর্যটন সমাবেশ। ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি গুয়াহাটির সরুসজাই স্টেডিয়ামে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। রাজ্যের প্রধান সচিব (পর্যটন) এইচ এস দাস জানান, কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক এর আয়োজন করছে। এই পর্যটন সমাবেশে সার্ক ও আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির পর্যটনমন্ত্রীরা আসছেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্মনি, স্পেন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধি ও পর্যটন সংস্থাগুলিও সমাবেশে অংশ নেবে। কেবল উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যই নয়, এই সমাবেশে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গও সমানভাবে অংশীদার।
পর্যটন সচিব দাস বলেন, “ভারতের দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর ভারতকে ‘পর্যটন চক্র’ হিসাবে দেখা হলেও, পূর্ব ভারতের তেমন পরিচিতি নেই। আমরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আহ্বান জানাচ্ছি সমাবেশে। অসম, বাংলা মিলিয়ে পর্যটন চক্র গড়ে উঠলে দুই রাজ্যের পক্ষেই মঙ্গল।”
পর্যটনমন্ত্রী চন্দন ব্রহ্ম বলেন, “ইতিমধ্যেই ৮০টি রাজ্যের অংশগ্রহণ নিশ্চিত। আশা করি সমাবেশে অন্তত ১২০টি দেশ আসবে। থাকবেন ভারতের হোটেল সংগঠন, রেস্তোরাঁ সংগঠন, পর্যটন সংস্থাগুলির সংগঠনের প্রতিনিধিরা।” পর্যটন সমাবেশেই শেষ নয়, তার সঙ্গেই শুরু হচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের দশম বার্ষিক সম্মেলন। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সঞ্জয় বসু বলেন, “এ বার, পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ছে উত্তর-পূর্ব নিয়ে। এখানে অরুণাচলে প্যারা-গ্লাইডিং, মিজোরামে হট-এয়ার বেলুনের উড়ান, কাজিরাঙা-মানস সাফারি, জিয়াভরালিতে র্যাফটিং বা নামেরিতে মাছ ধরার মজা হাতের নাগালে পাবেন দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা। বিশেষ করে, বিদেশের রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকদের জন্য উত্তর-পূর্ব স্বর্ণখনি। আসন্ন সম্মেলনে, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমকে নিয়ে মোট ৯টি রাজ্যকে বিদেশের সামনে তুলে ধরা হবে। প্রায় তিনশো দেশি-বিদেশি অতিথি সম্মেলনে থাকবেন। পর্যটন ব্যবসা বাড়ানো, যৌথ উদ্যোগ গড়ার সম্ভাবনাও মিলতে পারে এই সমাবেশের সূত্রে।” |