এক বছর ধরে চলা শিক্ষানবিশী পর্ব শেষ। শনিবারই টাটা গোষ্ঠীর ষষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে সব দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা। তার আগে রতন টাটার অবসরের দিন (শুক্রবার) সাইরাস পালোনজি মিস্ত্রি ঘুরে দেখে গেলেন টাটাদের সদর দফতর বম্বে হাউস। এ বার যেখান থেকে শীর্ষ কর্তা হিসেবে প্রায় ৪.৭৬ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা চালাবেন তিনি।
সাইরাস এ দিন বম্বে হাউসে এসেছেন সংবাদ মাধ্যমের ভিড় টপকে। নেমেছেন টাটা মোটরসেরই গাড়ি ইন্ডিগো মান্জা থেকে। এক বছর আগেই তাঁকে রতন টাটার উত্তরসূরি ঘোষণা করেছিল টাটা গোষ্ঠী। টাটার পাশে থেকে ব্যবসা পরিচালনার খুঁটিনাটি শিখেছেন। পরিচিত হয়েছেন শিল্প কর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। ৪৪ বছরের এই সাইরাস, পালোনজি মিস্ত্রির ছেলে। যাঁর পরিবারিক ব্যবসা শাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠী টাটাদের হোল্ডিং কোম্পানি টাটা সন্সের একক বৃহত্তম অংশীদার। টাটায় ডেপুটি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে পর্যন্ত শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীর এমডি ছিলেন তিনি। |
সামনে চ্যালেঞ্জ |
• টাটা ব্র্যান্ড এখন বিশ্ব-বিখ্যাত। কিন্তু সর্বত্র পণ্য পৌঁছে
খুঁজতে হবে লাভজনক ব্যবসার নক্শা।
• প্রতি মুহূর্তে তুলনা টানা হবে পূর্বসূরির সঙ্গে।
• সামাল দিতে হবে দুনিয়াজোড়া মন্দার জের।
• বিশ্বে ইস্পাতের চাহিদা তলানিতে। তাই সমস্যা কোরাস নিয়ে।
• দেশে গাড়ি-বাজার বেহাল। প্রত্যাশিত ব্যবসা বাড়ছে না ইউরোপেও।
• ডোকোমো-র সঙ্গে জোট বেঁধেও সুবিধা হয়নি টেলিকম শিল্পে।
• বেশ কিছু দিন ধরেই মার খাচ্ছে হোটেল ব্যবসা। |
|
সাইরাসের জন্ম ১৯৬৮ সালের ৪ জুলাই। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড মেডিসিন থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে। ১৯৯১ সালে শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার পর সেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে ব্যবসা বাড়ানোর কৃতিত্ব রয়েছে সাইরাসের। ২০০৬ থেকে আছেন টাটা সন্স পর্ষদেও। উত্তরসূরি হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার সময়ে কিছুটা চমকেই গিয়েছিল শিল্পমহল। তখন অনেকেই মনে করেছিলেন এতে হাত রয়েছে তাঁর পরিবারের। রতন টাটার অবশ্য মত ছিল, সাইরাস ‘‘একনিষ্ঠ, বুদ্ধিমান।”
এর আগে শুধু একবারই (১৯৩২-৩৮) টাটা গোষ্ঠীর ভার বর্তেছিল এমন এক জনের উপর, যাঁর পদবীতে ‘টাটা’ ছিল না। তাঁর নাম নৌরজি সাকলাতওয়ালা। তবে তিনিও ছিলেন গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামসেদজি টাটার ভাগ্নে। সেই অর্থে এ বারই প্রথম পুরোদস্তুর টাটা পরিবারের বাইরে বেরলো গোষ্ঠীর নেতৃত্ব। |