কলকাতা বা শহরতলিতে এমন হয়েই থাকে। মেদিনীপুরে এই প্রথম।
এই প্রথম মেদিনীপুরে হতে চলেছে ‘রক কার্নিভ্যাল ২০১২’।
কাল, রবিবার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলের মুক্ত মঞ্চে কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে। মেদিনীপুর-খড়্গপুর শহরেরই বেশ কয়েকটি রক ব্যান্ড এর আয়োজক। কার্নিভ্যাল কমিটির সম্পাদক শুভাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রক মিউজিককে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা কয়েকটা ব্যান্ড মিলিত ভাবে উদ্যোগী হয়েছি। আমাদের মতো অনেকেই রক মিউজিক নিয়ে চর্চা করেন। ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে তাঁরাও উৎসাহিত হবেন। অন্য দিকে, দুই শহর ও অন্য এলাকার ব্যান্ডগুলোর মধ্যে যোগাযোগও বাড়বে। আর ব্যান্ডের সদস্যদের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও নিবিড় হবে।”
মেদিনীপুর-খড়্গপুর শহরে এখন ১৫টিরও বেশি ব্যান্ড রয়েছে। যারা নিয়মিত অনুষ্ঠান করে। কোনও ব্যান্ড তৈরি হয়েছে বছর ছয়েক আগে। কোনওটার বয়স দুই-তিন। মেদিনীপুরে প্রথম ব্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল ‘পারিজাত’। সেটা ২০০৪ সাল। কয়েকজন উৎসাহী যুবক মিলে এই ব্যান্ড তৈরি করেন। ইতিমধ্যে তাঁদের গানের ৫টি সিডিও বেরিয়েছে। এই ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত স্বাগত মাইতি বলছিলেন, “তখন মেদিনীপুরে আর কোনও ব্যান্ড ছিল না। ফলে, কাউকে পাশে পাইনি। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি পাল্টেছে। এখন অনেকেই রক মিউজিক নিয়ে উৎসাহী। নিজেরা এগিয়ে এসে ব্যান্ড তৈরি করছেন।” তাঁর কথায়, “এমন কার্নিভ্যালের ফলে নতুন যাঁরা রক মিউজিক নিয়ে কাজ করছেন, বিভিন্ন মঞ্চে পারফর্ম করছেন, তাঁরা আরও উৎসাহিত হবেন।”
মেদিনীপুরে এমন কার্নিভ্যালের ভাবনা শুরু মাস ছয়েক আগে। শুরুতে দুই শহরের বেশ কয়েকটি ব্যান্ড এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে। রক কার্নিভ্যাল আয়োজনের পরিকল্পনা করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করে তারা। শুভাশিস বলছিলেন, “সাইটে নিজেদের পরিকল্পনার কথা শেয়ার করার পর থেকেই পরিচিত-অপরিচিতদের কাছ থেকে সাড়া পেতে শুরু করি। সকলেই উৎসাহ দেন। এরপর আর ওই ভাবনা থেকে পিছিয়ে আসার সুযোগ ছিল না। আমরাও পিছিয়ে আসতে চাইনি।” মেদিনীপুরের পারিজাত, মাস্কেটিয়ার্স, অডিও ডিএনএ থেকে খড়্গপুরের অনামিক, ওয়েস্টার্ন ম্যাগাজিনসব মিলিয়ে ১৫টিরও বেশি ব্যান্ড রবিবারের ওই কার্নিভ্যালে যোগ দেবে বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন। সঙ্গে থাকছে কলকাতা, দুর্গাপুরের কয়েকটি ব্যান্ডও। |