নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে মাটি ফেলার কাজের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার নৌকাঘাট এলাকায় মহানন্দা সেতুর ধারে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে যে পার্ক তৈরির কাজ চলছে সেখানেই ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকায় এসজেডিএ’র বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে বালি-পাথর সরবরাহ, মাটি ফেলার কাজ পান সে জন্য তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা একটি কমিটিও তৈরি করেন। তাদের নিজেদের মধ্যেই অনেক সময় নিবনা হয় না বলে অভিযোগ। ছোটখাট বিবাদ লেগেই থাকে। এ দিন ঠিকাদার সংস্থার অধীনে লাল্টু চক্রবর্তী এবং তাঁর লোকেরা একটি পুকুরকে ঘিরে পার্ক তৈরির জায়গায় গর্ত ভরাট করতে মাটি ফেলার কাজ করছিল বলে দাবি করেন। সে সময় অপর গোষ্ঠী মনোজ দে (টোটন) এবং তাঁদের লোকজন লাল্টুকে বাধা দেন বলে অভিযোগ। পুলিশেও অভিযোগ জানান লাল্টু। মনোজবাবুরাও তাদের মারধর করা হয়েছে বলে পুলিশে পাল্টা অভিযোগ জানান। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) ও জি পাল বলেন, “উভয়পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মনোজবাবু তৃণমূলের নৌকাঘাট অঞ্চল কমিটির ১৪৮ পাটের সম্পাদক। বিষয়টি নৌকাঘাট অঞ্চল কমিটির নেতৃত্ব ও জেলা নেতৃত্বকে জানান। জেলা কমিটির মহাসচিব কৃষ্ণ পাল জানান, তাদের কাছে এখনও অভিযোগ আসেনি। এসজেডিএ’র একটি সূত্র জানায়, মাটিকাটা, বালি, পাথর সরবারাহের কাজের বরাত ঠিকাদার সংস্থাকে দেওয়া হয়। তাদের হয়ে স্থানীয় যুবকেরা অনেকেই কাজ করেন। তাদের নিয়ে কমিটিও রয়েছে। কাজ পাওয়া নিয়ে কমিটির সদস্যদের মধ্যে গোলমাল আগেও ঘটেছে। লাল্টুবাবু জানান, গর্ত ভরাটের জন্য বরাত পাওয়া ঠিকাদারের অধীনে তিনি ও কয়েকজন মাটি ফেলার কাজ করছিলেন। সাড়ে ৯ টা নাগাদ টোটনবাবু, শম্ভুবাবুরা সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলেন। ঠিকাদারের মোবাইল নম্বর চান। তা না দিলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মনোজবাবু জানান, লাল্টুবাবু এবং তাঁরা একই কমিটিতে রয়েছেন। মিলেমিশে স্থানীয় যুবকেরা কাজ করেন। অথচ লাল্টুবাবু এ বার ঠিকাদারের সঙ্গে যোগযোগ করে বাইরের লোক নিয়ে কাজ করছেন। তাই সকলকে নিয়েই কাজ করতে বলা হয়েছে। মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। উল্টে তাঁরা কথা বলতে গেলে লাল্টুবাবু তাঁদের গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ। শম্ভুবাবু জানিয়েছেন, সকলে মিলে কাজ করতেই লাল্টুবাবুকে বলা হয়েছে। অথচ তিনি তা চাইছেন না। ঝামেলা করতে চাইছেন। |