গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব, দুর্নীতি নিয়ে জোর কাজিয়া রাজ্য বিজেপিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভোটের হার এবং সংগঠনের বহর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব ও দুর্নীতির অভিযোগ মাথাচাড়া দিচ্ছে রাজ্য বিজেপি-তে। দলের ৩২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে বারাসত, শিলিগুড়ি, বর্ধমান পূর্ব, হাওড়াএই চার জেলায় ওই সমস্যা প্রকট। তার মধ্যে বারাসতে দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, বারাসত জেলার নেতা তাপস মিত্র দলের জেলা সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। তাপসবাবুর ঘনিষ্ঠদের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনও তাঁর পক্ষেই ছিল। তা সত্ত্বেও রাজ্য নেতৃত্ব কামদেব দত্তকে ওই জেলার সভাপতি করেন। এর পরে তাপস এবং কামদেব গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালের জেরে দলের জেলা কার্যালয়ে তালা পড়ে যায়।
তাপসবাবু-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে কামদেব-গোষ্ঠী। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাপসবাবু এবং আশিসরঞ্জন মজুমদারকে সাসপেন্ড করেন বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। আবার তাপস-ঘনিষ্ঠদের চাপে সাসপেনশন তোলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। দলের রাজ্য নেতা তথাগত রায়ের কথায়, “এক জনের শাস্তি তুলে নেওয়া হয়েছে। অন্য জনের ক্ষেত্রেও হবে।”
শিলিগুড়ি জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে উপদলীয় কাজকর্ম চালানোর অভিযোগে সেখানকারও এক নেতাকে বহিষ্কার এবং এক জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। দলের বর্ধমান পূর্ব জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন কয়েকশো কর্মী।
দুর্নীতির অভিযোগে সরানো হয়েছে দলের হাওড়া জেলা সভাপতিকে। গত বছর বিধানসভা ভোটে হাওড়া-উত্তর কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর বদলে সিপিএমের হয়ে প্রচার করার জন্য তাদের কাছ থেকে হাওড়ার তৎকালীন বিজেপি জেলা সভাপতি অম্বুজ শর্মা ১৫ লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও সত্যতা মেলেনি। তবে অভিযোগ উঠেছে বলে তাঁকে সরিয়ে অন্য এক জনকে হাওড়ার সভাপতি করা হয়েছে।”
|
সাফল্য বীরভূমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
রাজ্য সরকারের ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ আয়োজিত ‘ক্রেতা সুরক্ষা আইন’ বিষয়ক প্রবন্ধে রাজ্যের প্রথম স্থান পেয়েছে ঈশিতা মণ্ডল। ময়ূরেশ্বরের কোটাসুর নতুলপল্লির বাসিন্দা ঈশিতা কোটাসুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার কলকাতার সল্টলেকে ওই প্রতিযোগিতা হয়। সেখানে প্রথম হওয়ার পাশাপাশি সে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। মেয়ের এই সাফল্যে বাবা-মা যেমন খুশি হয়েছেন তেমনি আপ্লুত তার স্কুলের শিক্ষকেরাও। |