রাসমঞ্চ থেকে দলমাদল কামান কিংবা লালবাঁধ থেকে লালগড় প্রকৃতি উদ্যানসর্বত্র মঙ্গলবার থিকথিকে ভিড় ছিল। দুপুর গড়াতেই সেই ভিড় দখল করল বিষ্ণুপুর মেলা চত্বর। এত ভিড় আগে দেখেনি বিষ্ণুপুর। বিষ্ণুপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অসিত চন্দ্র জানান, সরকারি-বেসরকারি মোট ৩২টি লজ ও হোটেলে দেড় হাজার মানুষ থাকতে পারেন। সব ভর্তি। বহু পর্যটককে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। মেলা কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ও বললেন, “এ দিনের ভিড় আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিল।”
|
সামনে ইংরেজি নববর্ষ। মেলা চত্বরেই বাঁকুড়ার জয়পুরের একটি প্রতিবন্ধী স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সে জন্য ‘গ্রিটিংস কার্ড’ তৈরি করছে। কেউ কেউ কিনছেনও। সঙ্গে রয়েছে মাটির কাজ ও ধূপ। স্কুলের সম্পাদক শান্তনু ঘোষ জানান, ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৩৪ জন মানসিক প্রতিবন্ধী। বাকিরা মূক-বধির।
|
লক্ষাধিক মানুষের পায়ে-পায়ে ধুলো উড়ছে মেলায়। স্টলের আশপাশে ধুলোর আস্তরণ। নাকে রুমাল জড়িয়ে ঘুরছেন অনেকেই। এক তরুণীর খেদোক্তি, “দিন দিন মেলার বহর বাড়ছে। কিন্তু ধুলো বন্ধের ব্যবস্থা নেই। শান্তিতে কেনাকাটিও করা যাচ্ছে না।” তবে মেলা কর্তারা জানাচ্ছেন, মেলা শুরুর আগে বেশ কয়েকটি জলের গাড়ি এনে জল ছেটানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরও জল ছড়ানো হবে।
|
গায়ে সোয়েটার। কিন্তু হু হু হিমেল হাওয়ায় অনেকেই কাঁপছেন। মেলায় ঢুকে ঠান্ডায় কাঁপছিলেন এক বধূ। নজর গেল তাঁর বিষ্ণুপুরী চাদরের একটা স্টলে। একরাশ চাদরের মধ্যে একটা তিনি বেছে নিয়ে গায়ে চড়াতেই কাঁপুনি বন্ধ। |