ধুবুলিয়া বাজারে চায়ের দোকানদারকে খুনের প্রতিবাদে ও খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উৎসবের দিন দীর্ঘ সময় ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় হয়রানির শিকার হয়েছেন কয়েকশো মানুষ। সোমবার সকালে এই বাজারেরই দোকানদার রাজু দাস নামে এক যুবকেরল দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু ওই ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। তারই প্রতিবাদে এই দিন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগের প্রধান সেতু জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। তাঁদের মধ্যেই দাঁড়িয়ে পুলিশকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখান কৃষ্ণনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তৃণমূলের মণি ঘোষ। |
ধুবুলিয়াতে রাস্তা অবরোধ ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য। |
তবে কৃষ্ণনগর ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, “উৎসবের দিন এই ভাবে রাস্তা অবরোধ করা ঠিক হয়নি। একটা খুন হয়েছে। খুবই দুঃখজনক ঘটনা, কিন্তু পুলিশকে তো তদন্ত করতে সময় দিতে হবে।” তাঁর সোজা কথা, “এই দিন যাঁরা অবরোধ করছিলেন, তাঁরা আমাদের দলের কেউ নন।” মণিবাবুরও সোজা কথা, “কে কী বলেছেন জানি না, আমি বিক্ষোভে ছিলাম। কারণ পুলিশ গাফিলতি করেছে।” কংগ্রেসের ওই ব্লকেরই সভাপতি রঞ্জিত গুহ বলেন, “পুলিশ নিষ্ক্রিয় বলেই আমাদের পথে নামতে হল। আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু এ ছাড়া পথ ছিল না।”
সিপিএমের ধুবুলিয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক মোজাম্মেল বিশ্বাসের কথায়, “পুলিশ যেখানে নিষ্ক্রিয় সেখানে সুবিচারের আশায় মানুষকে তো পথে নামতেই হবে।” জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে আমাদের অনুমান, টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুব তাড়াতাড়িই আমরা দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলতে পারব।” |