রাজধানীতে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। দিল্লি-মুম্বই-কলকাতার পাশাপাশি জেলার সদর শহরের মহিলারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সন্ধে নামলেই চেনা শহরের চেনা পথ বদলে যায়। অন্ধকারের বাঁকে লুকিয়ে থাকে বিপদ। ঝুঁকি বাড়ে পথে বেরনো মেয়েদের। |
|
সন্ধে নামতেই শুনশান মেদিনীপুরের শরৎপল্লি। |
সুলগ্না ভট্টাচার্য
জার্নালিস্ট |
ভাস্বতী বেরা (খাটুয়া)
স্কুল শিক্ষিকা |
জাহ্নবী মণ্ডল
ফুল বিক্রেতা |
প্রায়ই রাত হয়ে যায়। শ্মশানঘাটের সামনের রাস্তায় কিছু যুবক উত্ত্যক্ত করে। রাস্তায় আলো জ্বলে না ঠিক মতো। পুলিশ চোখে পড়ে না। |
বাস পেতে দেরি হলে মাঝেমধ্যে রাত হয়ে যায়। তখন লোকজন কমে যায়। পুলিশি পাহারা থাকে না বলে ভয় করে। |
পুরসভা অফিস থেকে আদালত চত্বরের ভিতরের রাস্তা জনশূন্য হয়ে যায় রাতে। মদ্যপদের জটলা থাকে। পায়রাটুঙিতেও একই। |
|
চন্দনা জানা
গৃহ পরিচারিকা |
অদিতি শশীমালা কোলা
একাদশ শ্রেণির ছাত্রী |
কবিতা দাস
নার্সিংহোমের কর্মী |
তমলুক কলেজের পর রাস্তায় প্রায়ই আলো জ্বলে না। মদ্যপরা ঘোরাফেরা করে। সম্প্রতি এক পরিচিতের হার ছিনতাই হয়েছে। |
টিউশন থেকে রাতে ফেরার পথে জেলখানা মোড়, কলেজ পাড়ায় ছেলেরা উত্ত্যক্ত করে। সকালে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও রাতে থাকে না। |
রাতে হাসপাতাল মোড়ে আজেবাজে লোকজনের উৎপাতটা বেশি। মদ্যপ অধিকাংশ। পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি পথবাতির ব্যবস্থা দরকার। |
|
রাঙামাটির উড়ালপুলে পায়ে হাঁটার পথও একেবারে ফাঁকা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল |
পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মী |
সোনম মুরারকা
তৃতীয় বর্ষ, কমার্স কলেজ |
সুজাতা কর্মকার
প্রথম বর্ষ, মহিলা কলেজ |
সন্ধের পর অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে ভয় হয়। বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে পর্যাপ্ত আলো নেই। রাতের শহরে পুলিশি নজরদারিও থাকে না। |
ক’দিন আগেই টিউশন থেকে ফেরার পথে কেরানিতলায় কিছু ছেলে কটূক্তি করল। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। নিরাপত্তা সত্যি নেই। |
বার্জটাউন ও আশপাশের রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো নেই। টিউশন থেকে দল বেঁধে ফেরার চেষ্টা করি। এখন তো নানা ঘটনা ঘটছে। উদ্বেগে থাকি। |
|
তন্দ্রা পট্টনায়েক
মেদিনীপুর মেডিক্যালে নার্স |
সপ্তপর্ণী দত্ত
স্কুল শিক্ষিকা |
পাপিয়া বর্মন
দোকান কর্মী |
শহরের মোড়গুলোতে আলো বাড়লেও অলিগলিতে পথবাতি নেই। সেই সুযোগে অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে। নজরদারি চাই। |
রাঙামাটি থেকে যে রাস্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে, সন্ধের পরে সেখানে যেতে ভয় লাগে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। |
শুধু ইভটিজিং বা ধর্ষণ নয়, শহরের রাস্তায় ইদানীং চুরি, ছিনতাইও বেড়ে গিয়েছে। সন্ধের পরে রাস্তায় বেরোলে তাই ভয় লাগে। |
|