নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মোহনবাগান জুড়েই এখন শাস্তির আতঙ্ক। সদস্য-সমর্থকদের মতো টোলগে-নির্মল-রাকেশদেরও সেই আতঙ্ক তাড়া করছে। ক্রিসমাসের সকালে করিম বাহিনীর প্রার্থনা ছিল একটাই, আই লিগে তিন বছরের নির্বাসনের মতো নজিরবিহীন কঠোর শাস্তি যেন ক্লাবকে পেতে না হয়!
বুধবার পুলিশ এসি’র বিরুদ্ধে কলকাতা লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে অনুশীলন দেখে সেটা বোঝার উপায় ছিল না। সবারই মন এখন পড়ে রয়েছে দিল্লির ফুটবল হাউসে। ২৪ ডিসেম্বর ডার্বি ম্যাচের শুনানি হয়ে গেছে। বুধবার বা বৃহস্পতিবার বাগান নিয়ে শাস্তি ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। সে কারণেই এ দিন সকালে ফুটবলাররা অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের দেখা হলেই প্রশ্ন করছিলেন, “আমাদের ক্লাবের নির্বাসন হবে না তো? আই লিগে আমরা খেলতে পারব তো?”
কলকাতা যখন কনকনে ঠান্ডার আমেজ গায়ে মেখে ২৫ ডিসেম্বর উপভোগ করছেন, তখন ছুটি ছিল না গঙ্গাপারের ক্লাবে। পুলিশ এ সি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগের দিনে কলকাতা লিগের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিল মোহনবাগান। |
বড়দিনে টোলগে। ছবি ফেসবুকের সৌজন্যে। |
মানসিকভাবে ভেঙে পড়া দলকে উজ্জীবিত করতে অনুশীলনে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছিলেন কোচ করিম বেঞ্চারিফা। কিন্তু ফুটবলারদের মধ্যে ডার্বি ম্যাচের ‘ফল’ কী হবে তা নিয়ে চাপা টেনশন ছিল সারাক্ষণ। অনুশীলনের পর রাকেশ মাসি যেমন বলছিলেন, “দিল্লিতে কি হল? কিছু জানতে পারলেন?” নির্মল ছেত্রী বলছিলেন, “আমি ভগবানের কাছে প্রর্থনা করব যেন মোহবাগানের নির্বাসন না হয়।” টোলগেও এ দিন যেন একটু চুপচাপ। হতাশ গলায় বলছিলেন, “শাস্তি নিয়ে আর ভাবতে ভাল লাগছে না।” ডার্বি ম্যাচে যাঁর লালকার্ড নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত সেই ওডাফা অবশ্য এ দিন মাঠেই আসেননি। বুকের পাঁজরে চোটের জন্য।
আজ বুধবার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওডাফা, ইচে, আইবর, বিশ্বজিৎ সাহাদের পাবেন না করিম। টোলগের সঙ্গে তাই শুরু থেকেই মরোক্কান কোচ জুড়ে দিচ্ছেন স্ট্যানলিকে। টোলগে নিজেও বলছেন, “আমি সুস্থ। পুরো সময় খেলার জন্য তৈরি।” এই ম্যাচে কোন কারণে হেরে গেলে কলকাতা লিগের পরের পর্বে যাওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। গ্রুপের বাকি ম্যাচগুলোর দিকে তখন তাকিয়ে থাকতে হবে মোহনবাগানকে। করিম অবশ্য বললেন, “বাসে করে অনেক দূরের কল্যাণীতে খেলতে যাব। ফুটবলাররা পরিশ্রান্ত হয়ে যাবে।” |