ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে তাঁর অবসর গ্রহণের পর কেটে গিয়েছে পাক্কা বাহাত্তর ঘণ্টা। কিন্তু তাতেও ফিকে হয়ে যায়নি সচিন তেন্ডুলকরের অনুরাগীদের হা-হুতাশ। দেশে এবং দেশের বাইরে তাঁর অবসর ঘিরে সমর্থকদের এই আবেগে মুগ্ধ সচিন স্বয়ং। বড়দিনে তাঁর অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সেই অনুভূতি টুইটারে ব্যক্ত করেছেন ‘লিটল মাস্টার’।
টুইটারে সচিন লিখেছেন, “ওয়ান ডে ক্রিকেটের আনন্দের মুহূর্তগুলো আমার সারা জীবনের সঙ্গী। বিশেষ করে শেষ কয়েকটা দিনের স্মৃতি। এত মানুষের ভালবাসা! আনন্দের পাশাপাশি কখনও কখনও চোখে জলও চলে আসছে। বছরের পর বছর আপনাদের এই ভালবাসা আর আশীর্বাদ যে ভাবে আমার সঙ্গে ছিল, তাকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য কোনও ভাষাই যথেষ্ট নয়।”
টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রানের মালিকের জন্য হা-হুতাশ পাকিস্তানের মাটিতেও। সচিনের সাম্প্রতিক অবসরের সিদ্ধান্তে হতাশ প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার ইনজামাম উল হক, হানিফ মহম্মদরাও।
সচিন প্রসঙ্গে ইনজামামের স্ট্রেট ড্রাইভ, “ক্রিকেটের স্বর্ণযুগের অবসান হল। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের চলতি সিরিজের পরে সচিন অবসর নিলেই আমার ভাল লাগত।” ইনজামামের সঙ্গে সহমত তাঁর দেশের আর এক বিখ্যাত ক্রিকেটার ওয়াসিম বারি। তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সব সময়ই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সচিনের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ দুটো ইনিংসেও ওর হাফসেঞ্চুরি আছে। ভারত-পাক চলতি সিরিজের পর সচিন অবসর নিলে তা স্মরণীয় হয়ে থাকত।”
ইনজামাম, ওয়াসিম বারিদের টপকে সচিন বন্দনায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছেন আফ্রিদিদের দেশের প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব হানিফ মহম্মদ। তাঁর সাফ কথা, “ব্র্যাডম্যানের চেয়েও এগিয়ে সচিন।”
চলতি সিরিজে যে কয়েক জন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসাবে ভারতে আসছেন, সেই দলে রয়েছেন হানিফ। এ দিন করাচিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, “ব্র্যাডম্যান, সচিন দু’জনকেই দেখেছি। সচিনই তার মধ্যে এগিয়ে। বিশ্বের সেরা। ওকে ভুলতে পারব না।”
সচিনের অবসর প্রসঙ্গে হানিফ বলেছেন, “খারাপ লাগছে। এক দিনের ক্রিকেটে এখনও দু’বছর খেলার রসদ ওর মধ্যে ছিল। সুযোগ পেলে সচিনের সঙ্গে আড্ডা মারার একটা ইচ্ছে নিয়েই ভারত যাচ্ছি।” |