পিকনিক পার্টির মারে হত হোটেল মালিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খাবার নিয়ে পিকনিক দলের সঙ্গে বচসায় প্রাণ গেল এক হোটেল মালিকের। গুরুতর জখম হলেন তাঁর দাদা। বড়দিনের আগের রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায়। পিকনিক দলের ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মেদিনীপুর শহর থেকে ৫৭ জনের দলটি ওড়িশার দেবকুণ্ডুতে পিকনিক করতে যাচ্ছিল। সোমবার রাত একটা নাগাদ বাস বোঝাই করে রওনা দেয় তারা। খড়্গপুর পেরিয়ে বেলদা ঢোকার মুখে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের একপাশে কালীবাগিচায় একটি হোটেলের সামনে দাঁড়ায় বাসটি। হোটেলে আগে থেকেই ভিড় ছিল। ফলে, পিকনিক দলের সদস্যদের খাবার পেতে দেরি হয়। সেই নিয়েই বচসা শুরু হয়। পরে হাতাহাতি বাধে। কাঠ-রড নিয়ে চলে মারধর। মাথায় চোট পান হোটেলের এক মালিক সুনীল কর (৪৬)। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। সুনীলবাবুর দাদা হোটেলের আর এক মালিক স্বপন করও গুরুতর জখম হন। |
|
এই হোটেলেই খুন হন হোটেল মালিক। —নিজস্ব চিত্র |
পুলিশ এসে পিকনিক দলের ৩৫ জনকে গ্রেফতার করে। বাসটি আটক করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “খাবার দেওয়া নিয়ে বচসা শুরু হয়েছিল। পরে হাতাহাতি হয়। তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পিকনিক দলের সদস্যরা মদ্যপ ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। কারণ, বাসের মধ্যে থেকে কয়েকটি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।
গভীর রাতে এমন ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অন্য যাঁরা হোটেলে এসেছিলেন, তাঁরাও আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ধৃত ৩৫ জনকে মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ বিচারক। |
|