রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় • কলকাতা |
হাওড়ার পাঁচলার জ্বলা-বিশ্বনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধুনকি গ্রামে কানা নদের উপরে কাঠের সাঁকোটির বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গিয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের সঙ্গে সেতু পারাপার করছেন। তাঁরা জানান, সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে সাঁকোটি তৈরি হয়েছিল প্রায় ৩০ বছর আগে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সাঁকোটির দেখভাল করা হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। সে কারণেই সাঁকোটির এই হাল হয়েছে বলে বাসিন্দারা জানান। তাঁদের দাবি এটির বদলে পাকা সেতু তৈরি করতে হবে।
সেতুটি ধুনকি এবং বুদুল এই দু’টি গ্রামকে যুক্ত করেছে। সাঁকোটি ৭০ ফুট লম্বা এবং ৬ ফুট চওড়া। সাঁকোর নীচের অংশের কাঠের খুঁটিগুলি অধিকাংশ ভেঙে গিয়েছে। উপরের পাটাতনের কাঠগুলি সরে গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বাঁশ দিয়ে সাঁকোর ভেঙে যাওয়া অংশটি মেরামত করা হয়েছে। ঠেকা দেওয়া ব্যবস্থাকে সম্বল করেই বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। সাঁকোটি ব্যবহার করে সাতটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী। এ ছাড়া অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ সাঁকোটি ব্যবহার করেন। এক সময়ে এর উপর দিয়ে মোটরবাইক, সাইকেল, ভ্যান রিকশা চলাচল করত। |
কিন্তু সাঁকোর বেহাল দশার জন্য বর্তমানে সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কয়েক মাস আগে এই সাঁকোর উপর দিয়ে পুলিশ প্রহরায় একটি ধর্মীয় উৎসবের মিছিল যাচ্ছিল। কিন্তু ভিড়ের চাপে পুলিশ-সহ চার জন সেতু থেকে নীচে পড়ে গিয়ে জখম হন। এই সাঁকোর উপর দিয়ে হরিশপুর, রাজখোলা, তেহট্ট নায়েকপাড়া, মেজুটি, ধুনকি প্রভৃতি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এই সব গ্রামবাসীরা বিপাকে পড়েছেন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় সমস্যাটির কথা সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। প্রধান বিমল দলুই বলেন, “দেড় বছর আগে যখন সাঁকোটি ভেঙে যায় সে সময়েই আমরা সেচ দফতরকে চিঠি লিখেছিলাম। এ ছাড়া বিভিন্ন মহলে সমস্যাটির কথা জানিয়েছি।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাস দুই আগে সেচ দফতর মাটি পরীক্ষার কাজ করেছে। কিন্তু তার পর থেকে কাজ আর এগোয়নি। সেচ দফতরের আমতা সাব ডিভিশনের এসডিও স্বপন দত্ত বলেন, “কাঠের ভাঙা সাঁকোটি মেরামতির ব্যাপার হলে তা দ্রুত হয়ে যেত। কিন্তু গ্রামবাসীরা চাইছেন পাকা সেতু। তাই কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে। তবে পাকা সেতু তৈরির জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ হয়েছে।” |