ধর্ষকরা আসলে মেয়েদের ঘেন্না করে। যে ঘেন্নার জন্ম শৈশবে, পরিবারে, বাবার হাতে মা-র
রোজ মার খাওয়ায়, জেঠু-কাকুর হুঙ্কারে জেঠিমা-কাকিমাদের নিত্য চুপসে যাওয়ায়,
পাড়ার দাদাদের কাছে মেয়েদের যৌন-পুতুল হিসেবে দেখতে শেখা-য়।
শান্তনু চক্রবর্তী |
মেয়েটা বাড়িতে মোটেই একলা ছিল না। দিনে-দুপুরে পাড়ার লোকেরাও নাক ডাকিয়ে ঘুমোচ্ছিল না। সব্বার চোখের সামনে দিয়ে লোকটা গটগটিয়ে ওদের বাড়িতে ঢুকল। এ-ঘর ও-ঘর খুঁজে মেয়েটাকে চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে বাইরে এনে ফেলল। বাইরে এনেও মারল। আরও মারল। তার পর মার খেতে খেতে নেতিয়ে পড়া মেয়েটার গলায় ফাঁস দিয়ে ওর শেষ দমটুকুও বের করে দিল। সব কাজ সেরে লোকটা হাত-টাত মুছে, ওই অনেক জোড়া মরা মাছের মতো ঠান্ডা-পলকহীন-প্রতিক্রিয়াহীন-ফ্যালফ্যালে-নীরব চোখের সামনে দিয়েই, যেমন এসেছিল তেমনই চলে গেল। কয়েক ঘণ্টা পরে পুলিশ এসে মেয়েটার লাশটা তুলে নিয়ে গেল ময়নাতদন্তের জন্য। মেয়েটার বাড়ির লোকেরা, পাড়ার লোকেরা চুপচাপ দাঁড়িয়েই দেখল। তাদের হাতে পোস্টার, ব্যানার, মোমবাতি কিচ্ছু ছিল না! তারা কেউ স্লোগানও দেয়নি! পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ দূরে থাক, হালকা-কোমল ধাক্কাধাক্কিও করতে হয়নি! |
শকুন-চোখ ও বোজা চোখ। ইংমার বেয়ারমান-এর ‘দ্য ভার্জিন স্প্রিং’-এর দৃশ্য। |
এখন, পুরো ব্যাপারটাকে কেউ যদি কোনও দক্ষিণী সিনেমা বা তার হিন্দি রিমেক-এর কোনও দৃশ্য ভাবেন, তা হলে ভুল করবেন। ঠিক এই ঘটনাটিই ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে। দিল্লির রাজপথে সন্ধে-রাত্তিরে, চলন্ত বাসের মধ্যে ক’জন ‘বীরপুরুষ’ যে দিন ২৩ বছরের প্যারা-মেডিক্যাল ছাত্রীর গোপনাঙ্গে তাদের মর্দাঙ্গির ‘জোশ’-উল্লাসের পাশাপাশি গাড়ি-মেরামতির কোনও কোনও যন্ত্রপাতিও ঢুকিয়ে দিচ্ছিল, রড দিয়ে পিটিয়ে থেঁতলে দিচ্ছিল তার কাঁধ, গোড়ালির হাড়, পেটের নাড়িভুঁড়ি-অন্ত্র, তার ঠিক এক দিন আগেই। কিন্তু বছর ষোলো-সতেরোর মেয়েটাকে কেন খুন হয়ে যেতে হল? কারণ, এক বছর আগে, ২০১১-র ডিসেম্বরে ওই বাচ্চা মেয়েটাকে ধর্ষণ করেছিল ওই লোকটাই। মেয়েটা ও তার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল ওই লোকটার নামে। পুলিশ কতটা কী ব্যবস্থা নিয়েছিল জানা নেই, লোকটা কিন্তু মেয়েটার বাড়িতে এসে নিয়মিত হুমকি দিয়ে যেত। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিত। কোথা থেকে সাহস পেয়েছিল কে জানে, কিন্তু মেয়েটা ও তার পরিবার কেসটা তোলেনি! এতখানি স্পর্ধা! ‘মৃত্যুদণ্ড’ ছাড়া আর কী-ই বা শাস্তি হতে পারত মেয়েটার! কপাল ভাল তাই গলায় স্রেফ ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হল। কেরোসিন ঢেলে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দিলেই বা কে বাধা দিত! হিন্দি ‘হৃদয়পুরে’ অমন তো কতই ঘটে!
লোকটা মেয়েটাকে খুন করেছে, কারণ মেয়েটা কথা শোনেনি। পুরোদস্তুর ধর্ষিতা হওয়ার পরেও মেয়েটার যে ভাবে ধ্বস্ত, ত্রস্ত, শরীরে-মরমে মরোমরো হওয়ার কথা ছিল, মেয়েটা সে ভাবে থাকেনি। সে তার লজ্জা-অপমান গোপন রাখেনি। থানায় গিয়ে রিপোর্ট লিখিয়েছে। মানে, যে লোকটা তার সব প্রতিরোধ চূর্ণ করে তাকে ধর্ষণ করল, মেয়েটা আবার তার সামনে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ছে। তার মানে, তার ধর্ষণ করার ক্ষমতাকে কোথাও চ্যালেঞ্জ করছে মেয়েটা। মেয়েটাকে ধর্ষণ করে, তাকে কার্যত ধ্বংস করার যে সুতৃপ্তি নিয়ে লোকটা নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়েছিল, সেই তৃপ্তিটাই মুছে দিচ্ছে মেয়েটা। লোকটার তাই রাগ হয়েছিল। ক্ষমতার রাগ বা ক্ষমতাবানের রাগ। সেই রাগ থেকেই খুন। এটা ক্ষমতার প্রত্যাঘাত বা অপমানের প্রতিশোধ।
আসলে ধর্ষণকাণ্ড মানেই তো ক্ষমতার উল্লাস। একটা মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে, বাধার বিরুদ্ধে, একা কিংবা কয়েক জন তার শরীরটাকে তছনছ করলাম, মেয়েটা কিছুই করতে পারল না এটা তো আমার শক্তির জয়, আমার আধিপত্যের সুপ্রতিষ্ঠা। সেনাবাহিনী যুগে যুগে অন্য দেশ দখল করার সময় (এমনকী নিজের দেশের ভেতরেও বিদ্রোহ দমন করার সময়), মোটের ওপর ধর্ষণ করে থাকে, সেটা কিন্তু শুধুই দীর্ঘ দিন ঘর-পরিবার ছেড়ে থাকা, মেয়েমানুষের মুখ দেখতে না পাওয়ার খিদে থেকে নয়! দখল করা ভূমির মেয়েদের শরীরের ওপরেও একতরফা দখলদারি আসলে আধিপত্য কায়েমে সাহায্য করে। পদানত জনতার মগজে অধীনতা ও আনুগত্যের ভাব পয়দা করে। উচ্চবর্ণের ‘প্রাইভেট’ সেনারা যে একদা বিহার-উত্তরপ্রদেশের দলিত গ্রামে আগুন লাগানোর পাশাপাশি গণধর্ষণও চালাত, সেটা তো দলিত কন্যার রূপ-যৌবনের মোহে নয়। ওই প্রত্যেকটা ধর্ষিত দলিত-নারীর শরীর আসলে বর্ণ-যুদ্ধে দলিতদের হেরে ভূত হয়ে যাওয়ার এক-একটা লজ্জা-চিহ্ন। সংখ্যা যত বেশি, জয়ের উত্তেজনাও তত বেশি। ফুটবল মাঠে বিপক্ষকে গুনে গুনে হাফ ডজন, এক ডজন গোল দেওয়ার মতো! ২০০২-এ গুজরাত কাণ্ডে সংখ্যালঘু মেয়েদের গণধর্ষণের ভিডিয়ো তুলে রেখে হিন্দুত্ববাদী ক্ষমতাও একই রকম তৃপ্তি আর অহংকারের ঢেকুর তুলেছিল।
ধর্ষণকারীর মনস্তত্ত্ব নিয়ে অনেক দিন গবেষণা করছেন ডেভিড লিজ্যাদ। মার্কিন এয়ারফোর্স আকাদেমিতে পরামর্শদাতা হিসেবে আছেন, ২০০৩-এ বাহিনীর মধ্যে একটা যৌন-হিংসার ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর থেকেই। তাঁর কেস-স্টাডি বলছে, যৌন হিংসার ঘটনার পিছনে ক্ষমতা জাহির করার পাশাপাশি আর একটা ব্যাপার কাজ করে: রাগ। ধর্ষণকারী কোনও ভয়ানক অন্ধ, উৎকট রাগের উত্তেজনায় কিছু একটা ঘটিয়ে ফেলল, এমন যে হয় না তা নয়। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই রাগটা আসে অন্য জায়গা থেকে। আমি তোমার শরীর চাইছি আমি মনে করি এটা আমার পাওনা তোমার এত সাহস, তুমি দিচ্ছ না! ব্যস, আমার রাগ হয়ে গেল। সেই রাগেই তুমি যেটা দিলে না, আমি সেটা কেড়ে নিলাম। যেহেতু তুমি আমায় দিলে না, আমায় জোর করে কেড়ে নিতে হল সেই রাগেই কেড়ে নেওয়ার আগে তোমায় আমি পেটাব, কেড়ে নিতে নিতে পেটাব, কেড়ে নেওয়ার পরেও পেটাব, চলন্ত গাড়ি থেকে ঠেলে ফেলে দেব।
রাগ যে শুধু বাধা পাওয়া থেকেই হবে, এমন নয়। মেয়েরা দ্যাখো সব ভাল ভাল চাকরি নিয়ে নিচ্ছে, আমরা চাকরি-বাকরি পাচ্ছি না এই ধরনের হতাশা থেকেও রাগ হতে পারে। সেই রাগ ধর্ষণ অবধি পৌঁছে যেতেই পারে। আমরা হাজার চেষ্টা করেও গার্লফ্রেন্ড জোটাতে পারি না; অথচ ওই মেয়েটা দ্যাখো পুরুষ-বন্ধুর সঙ্গে দিব্যি সিনেমা দেখে কত রাত্তির করে বাড়ি ফিরছে। দেখতে দেখতে, ভাবতে ভাবতে আমাদের মাথা গরম হয়ে যেতে পারে। এই গরম মাথাই তখন মেয়েটিকে আওয়াজ-টিটকিরি ও প্রতিবাদী পুরুষ-বন্ধুটিকে ধরে চড়-থাপ্পড় দিতে পারে। আর অকুস্থল যদি রঙিন কাচে ঢাকা চলন্ত বাসের অন্দর হয়, তবে তো সোনায় সোহাগা। তখন ছেলেটাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আধমরা করে, মেয়েটাকে ড্রাইভারের কেবিনের দিকে টেনে নিয়ে গিয়ে...! পরম করুণাময়, পৃথিবীতে পুরুষের রাগ জল করার কী চমৎকার বন্দোবস্ত করে রেখেছেন! তবে পুরুষের রাগের আর একটা কারণ তো ‘বিপন্ন পৌরুষ’ও! মেয়েদের শরীর চাইলেই পাওয়া যায়! যে পুরুষের তা-ও জোটে না, তার তো ‘মর্দাঙ্গি’ নিয়েই সংশয়! সুতরাং, পুরুষত্ব ও পুরুষাঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য তাকে একটা-দুটো ধর্ষণ করে ফেলতেই হয়!
তবে ক্ষমতা, আধিপত্য বিস্তার, রাগ, বিপন্নতা, হঠাৎ যৌন উত্তেজনা কিংবা ‘জাস্ট মস্তি’ ধর্ষকের মগজে যে কারণটাই থাকুক, ডেভিড লিজ্যাদের বিশ্বাস, যে লোকটা বা লোকগুলো ধর্ষণ করে, তারা আসলে মেয়েদের ঘেন্না করে। নাৎসিরা যে ভাবে ইহুদিদের ঘেন্না করত, সেই একই রকম চিড়বিড়ে, ধ্বংসাত্মক, আগ্রাসী সেই ঘৃণা। এই ঘেন্নার জন্ম শৈশবে, পরিবারে, বাবার হাতে মা-র রোজ মার খাওয়ায়, জেঠু-কাকুর হুঙ্কারে-দাবড়াদাবড়িতে জেঠিমা-কাকিমাদের নিত্য চুপসে যাওয়ায়, পাড়ার দাদাদের কাছে মেয়েদের যৌন-পুতুল হিসেবে দেখতে শেখায়, ইস্কুলের ওপর-ক্লাসে বন্ধুরা মিলে সামনের বেঞ্চের চশমা-পরা, বইমুখো, গোবেচারি মেয়েটিকে দিনভর ‘বহেনজি’ বলে ডেকে ডেকে কাঁদিয়ে ছাড়ায়! ‘রেপ-রাজধানী’ দিল্লির সাংস্কৃতিক ‘হিন্টারল্যান্ড’ হরিয়ানা-উত্তরপ্রদেশে তো এই ঘেন্নারই চাষ হয়। স্ত্রী-ভ্রূণ হত্যায় হরিয়ানা দেশের মধ্যে পয়লা নম্বরে। জনসংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারীর অনুপাত জাতীয় গড়ের অনেক নীচে। এগুলো তো শুধুই পরিসংখ্যান নয়। মেয়েদের তুচ্ছ করতে, ঘেন্না করতে শেখার সিলেবাসও। অবশ্য ‘হেট ক্যাম্পেন’-এ ‘প্রগতিশীল’ কলকাতা, ‘কসমোপলিটান’ মুম্বইও খুব পিছিয়ে নেই। রাতে বাড়ি ফেরার সময় ধর্ষিতার স্কার্টের ঝুল কত ছিল তাই মেপে এখানেও ধর্ষকের অপরাধের ‘সামাজিক গুরুত্ব’ বিচার হয়! লোকসভার বিরোধী নেতার বিবৃতি শুনেও মনে হতে পারে, দিল্লির ঘটনাটা রাত সাড়ে ৯টায় ঘটল বলেই এটা পুলিশ প্রশাসনের দায় রাত একটু গভীর হলেই দোষটা নিশ্চিন্তে মেয়েটার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া যেত! দিল্লি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যিনি এক্ষুনি লোকসভার বিশেষ অধিবেশন চাইছেন, তাঁর সঙ্ঘ-পরিবারের নীতি-পুলিশরা ‘ভারতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতির কলঙ্ক’, ‘বদ্চলন’, ‘বেআব্রু’ মেয়েদের জন্য মাঝেমধ্যেই কী ধরনের দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা করেন, সেটাও দেশসুদ্ধ মানুষের জানা আছে।
অবশ্য দেশ জুড়ে এই মুহূর্তে উল্টো হাওয়াই বইছে। সব ঘেন্নার অভিমুখ বেসরকারি বাসের ওই ৬টা লোকের (যাদের মধ্যে এক জন নাকি নেহাত বালক) দিকেই! কিন্তু ইন্ডিয়া গেট, রাইসিনা হিলসের সামনে যখন দৃপ্ত স্লোগান উঠছে ‘বলাৎকারী কো ফাঁসি দো’ পুলিশের লাঠি-কাঁদানে গ্যাস-জলকামানও সে দাবিকে এতটুকু টলাতে পারছে না, তখন দিল্লিরই পালিকাবাজারে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকায় দিব্যি বিকোচ্ছে নতুন একটা ভিডিয়ো গেম: ‘রেপ্লে’ (Rapelay)! সে গেমের শুরুতে সাবওয়ে স্টেশনে এক যুবতী মা’কে তাড়া করে ধরে ফেলতে হবে। তার পর চালাতে হবে ধর্ষণ পুরনো খবর-কাগজের ভাষায় যাকে বলে ‘পাশবিক অত্যাচার’! এই ‘সফল’ অত্যাচারের বোনাস পয়েন্ট হিসেবে পরের লেভেল-এ আপনি ওই মহিলার দু-দু’জন টিন-এজ কন্যাকে ধর্ষণ করার সুযোগ পাবেন! আর সেই কাজটা নিখুঁত-সুচারু ভাবে ‘সম্পন্ন করলেই’ আপনার সামনে খুলে যাবে ‘ভার্চুয়াল’ ধর্ষণের মুক্ত বাজার। তখন সাবওয়ে স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে ‘যাকে পাবি তাকে ছোঁ’-র মতো, যে মেয়েকে দেখবেন, তাকেই ধর্ষণ করার পরোয়ানা পকেটে! এই গেম-টা জোগাড় করার জন্য পালিকাবাজার অবধি ধাওয়া করার দরকার নেই, বিশেষ ওয়েবসাইট থেকেই ডাউনলোড করে নিতে পারেন। সেখানেই সন্ধান পেয়ে যেতে পারেন এমন আরও কিছু ভার্চুয়াল ধর্ষণ-খেলার! এই খেলা-খেলা ধর্ষণে একটু অভ্যেস হয়ে গেলে হয়তো ব্যাপারটাকে মনে হবে মজার খেলাই যত ক্ষণ অনলাইন, তত ক্ষণ সুখ, আমোদ! পোর্টাল বন্ধ করে, বিবেক ধুয়েমুছে বিছানায় গেলেই নিশ্চিন্ত ঘুম। দিল্লির ঘটনার রাত্তিরে রাম সিং ও তার দলবলও নিশ্চিন্তেই যে যার ডেরায় ফিরে গিয়েছিল। কানেক্টিকাট-এর অ্যাডাম ল্যান্জ-ও মায়ের বন্দুকের র্যাকের পাশে বসে কম্পিউটারে খুন-জখমের গেম্স-ই খেলত মন দিয়ে। ‘শিন্ডলার্স লিস্ট’-এর নাৎসি অফিসারটি ঘুম থেকে উঠে বাথরুম-টাথরুম সেরে বারান্দায় চা খেতে খেতে ইহুদি বন্দিদের ওপর টার্গেট প্র্যাক্টিস করত খেলাচ্ছলেই। এই সব ঘটনা বা দৃশ্যগুলো আপাত ভাবে বিচ্ছিন্নই! কিন্তু জটিল মন কে জানে কখন ব্যাপারগুলোকে আচমকাই জুড়ে ফেলে শিউরে ওঠে! সে শিহরনটা ‘ভার্চুয়াল’ না কিন্তু! তাই কেমন ভয়-ভয় করে। |