|
|
|
|
মেয়েদের আত্মরক্ষায় প্রশিক্ষণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনায় সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানেই অসম। তা সত্ত্বেও দিল্লির সাম্প্রতিক ধর্ষণের পরে টনক নড়েছে রাজ্য প্রশাসনের। উজানি অসমের স্কুল-কলেজে ছাত্রীদের জন্য শুরু হতে চলেছে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ।
এই বছর জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অবধি, রাজ্যে, মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত ৭০০০টির বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। গত বছর মোট সংখ্যাটি ছিল ১১ হাজার। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, গোটা দেশের নিরিখে, মেয়েদের বিরুদ্ধে সর্বাধিক অপরাধ ঘটে ত্রিপুরায়। তার পরেই ৩৬.৯ শতাংশ অপরাধের খতিয়ান-সহ অসমের স্থান। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। সমীক্ষা বলছে, জানুয়ারি থেকে নভেম্বর অবধি ৪৪৬ জন মহিলা পণ সংক্রান্ত ঘটনায় মারা গিয়েছেন। অপহৃত হয়েছেন ২১০৯ জন। গত ছয় বছরে মোট অপহরণের সংখ্যা ১১,৫৫৩টি। ২০১১ সালে শ্লীলতাহানির ১৪৪৬টি ঘটনা ও ধর্ষণের ২০১১টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল। এই বছর ৯ জুলাই খ্রিস্টান বস্তি এলাকায় প্রকাশ্য শ্লীলতাহানির ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়। এরপরেও রাজ্যের আনাচে কানাচে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে।
এহেন পরিস্থিতিতে, উজানি অসমের স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের আত্নরক্ষায় দক্ষ করে তুলতে উদ্যোগী উজানি অসমের কমিশনার এস আই হুসেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সেনা কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলেছেন তিনি। হুসেন জানান, উজানির পাঁচটি জেলায়, এনসিসি দেখভালের জন্য নিযুক্ত সেনা অফিসারেরা ছাত্রীদের জন্য দৈহিক ও মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে ভাবনা চিন্তা চালাচ্ছেন। সেনা ও প্রশাসনের ইচ্ছা, প্রতিটি ছাত্রীকে এই স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া। যাতে, এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে তারা।
কেবল সেনা জওয়ানদের থেকে গা-বাঁচানোর প্যাঁচই নয়, এই প্রশিক্ষণপর্বে, ছাত্রীরা আইনজীবীদের কাছ থেকে জানতে পারবে নারী অধিকার বিষয়ক আইনগুলির খুঁটিনাটি। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি জানাবে, অত্যাচারিতা মেয়েদের ভয় পাওয়ার বা চুপ করে থাকার দিন শেষ। তাদের হয়ে লড়াই চালাবার জন্য অনেকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি স্তরের মহিলা আমলারা জানাবেন কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ে কী ভাবে সসম্মানে টিঁকে থাকতে হয়। শারীরিক নিগ্রহের ক্ষেত্রে, সত্য-মিথ্যার ভুল ভাঙিয়ে সঠিক দিশা দেখাবেন চিকিৎসকেরা। নারী নিগ্রহ রুখতে ইতিমধ্যে, অসম পুলিশ ‘বীরাঙ্গনা’ নামে বিশেষ বাহিনী গড়েছে। এনসিসির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুলিশও আইন ও আত্মরক্ষার
খুঁটিনাটি শেখাবে। |
|
|
|
|
|