|
|
|
|
রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের ইঙ্গিত |
বিদ্যুৎ সংস্থায় কয়লার দর নিয়ে নয়া প্রস্তাবে অটল কেন্দ্র |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কয়লার দাম নিয়ে আর এক দফা কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আসন্ন।
যোজনা কমিশনের প্রস্তাব ছিল আমদানি করা কয়লা ও দেশে উৎপন্ন কয়লার দামের গড় হিসাব করে সেই দরেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে জ্বালানি দিক কোল ইন্ডিয়া।
এই প্রস্তাব মানতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ। একই আপত্তি ওড়িশারও। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ওই গড় দামের প্রস্তাব কার্যকর করার সুপারিশ জানিয়ে বিবৃতি পাঠাচ্ছে মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটির কাছে। আগামী মাসেই ওই বিবৃতি পাঠানো হবে।
দেশে চাহিদার তুলনায় কয়লার উৎপাদন কম। এর জন্য বিশেষ করে সমস্যায় পড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলি। এই সব সংস্থার সঙ্গে কোল ইন্ডিয়া কয়লা সরবরাহ নিয়ে একটা চুক্তি সম্পাদন করে থাকে। পুরনো চুক্তিতে শর্ত ছিল যে, চুক্তিতে উল্লিখিত পরিমাণের অন্তত ৫০% কয়লা কোল ইন্ডিয়া জোগাবে। সেটা না-করতে পারলে বিদ্যুৎ সংস্থাকে কোল ইন্ডিয়ার জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু নতুন যে জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি বা ফুয়েল সাপ্লাই এগ্রিমেন্ট বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির সঙ্গে কোল ইন্ডিয়া সই করছে, তাতে ন্যূনতম সরবরাহ ৮০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে কোল ইন্ডিয়া। |
|
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের হস্তক্ষেপের পরেই অতিরিক্ত কয়লা সরবরাহের ওই পরিমাণ বাড়িয়েছে কোল ইন্ডিয়া। কিন্তু সেখানে বলা হয়েছে, ৬৫% সরবরাহ করা হবে দেশে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে। বাকি ১৫% আমদানি করা কয়লা দিয়ে।
তবে আমদানিকৃত কয়লার দাম দেশে উৎপাদিত কয়লার দামের থেকে ৩৫ থেকে ৫০% বেশি। ওই অতিরিক্ত দাম দেওয়ার ব্যাপারে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তখন সমাধানসূত্র হিসাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়, দেশে কয়লার দাম কিছুটা বাড়িয়ে ও আমদানিকৃত কয়লার দাম কমিয়ে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির জন্য একটা গড় দাম ঠিক করা হবে। এই ব্যবস্থারই পোশাকি নাম ‘প্রাইস পুলিং মেকানিজম’। এর বিরোধিতা করছে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা।
তবে এ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আটঘাট বেঁধেই নামতে চলেছে। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ সচিব প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পুলক চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়ছেন যে, বিদ্যুৎ মন্ত্রক খুব শীঘ্রই নতুন দাম নির্ধারণের প্রকল্পটির ব্যাপারে বিশদে কোল ইন্ডিয়াকে জানাবে। |
|
|
|
|
|