|
|
|
|
অটলের নামে ঐক্যের চেষ্টা দলে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
গুজরাত জয় সারা। আগামিকাল তৃতীয় বারের জন্য শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। পরের লক্ষ্য দিল্লি দখল। সেই লড়াইয়ে দলকে একজোট করতে অটলবিহারী বাজপেয়ীকেই ফের সামনে রাখছে বিজেপি। আজ ছিল তাঁর ৮৮তম জন্মদিন। শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর বাড়িতে যাওয়া, গোটা দেশে উৎসব পালন এই সবের পাশাপাশি দলের একমাত্র প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক কুশলতা ও সুশাসনের কথা জোরদার ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা চালাল বিজেপি। স্বাস্থ্যের কারণে প্রকাশ্য রাজনীতি থেকে সন্ন্যাসে চলে যাওয়া নেতাকেই রাজনৈতিক ভাবে যথাসম্ভব কাজে লাগাতে তৎপর হল দল। যদিও এতে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটবে কি না, সে উত্তর জানা নেই বিজেপি নেতৃত্বের। বিশেষ করে মোদীর সাফল্য যেখানে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রাথী বাছাইয়ের প্রশ্নটিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিজেপি-র ছোট-বড় অনেক নেতাই আজ সকাল-সকাল বাজপেয়ীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাড়িতে যান। পূর্বসূরিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় মিনিট পনেরোর ওই বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। পটনা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার আগেই নিতিন গডকড়ী, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি, অনন্তকুমাররা বাজপেয়ীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন। দেখা করে আসেন দলের বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীও। |
জন্মদিনের প্রণাম বাজপেয়ীকে। শপথের আগের সন্ধ্যায়। ছবি: এএফপি |
বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, দলের এখন লক্ষ্য, অভ্যন্তরীণ বিবাদকে দূরে সরিয়ে রেখে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য একজোট হয়ে প্রস্তুতিতে নামা। সে জন্য জোট শরিকদের নিয়ে চলা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বাজপেয়ীর সাফল্যকে বিশেষ ভাবে তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছে দল। আজ দিনভরই বিজেপি নেতাদের কথায় তার প্রতিফলন ধরা পড়েছে। অনন্ত কুমার বলেন, “সুশাসনের জন্য বাজপেয়ী গোটা দেশের কাছে রোল মডেল। তাঁর শাসনে দেশ উন্নতির পথে হেঁটেছিল। আমরাও সেই পথ অনুসরণ করব।” পাশাপাশি জোটধর্ম রক্ষার ক্ষেত্রে মনমোহন সিংহ সরকারের ব্যর্থতাকে বিঁধতেও বাজপেয়ী মডেলকেই অস্ত্র করেছেন গডকড়ী, অনন্তকুমাররা। বাজপেয়ীকে জোট রাজনীতির গুরু অ্যাখ্যা দিয়ে এক বিজেপি নেতার বক্তব্য, “সরকার থেকে তৃণমূল বেরিয়ে গিয়েছে। ডিএমকে-র সঙ্গেও সুসম্পর্ক নেই কংগ্রেসের। সিবিআইয়ের জুজু দেখিয়ে কোনও মতে মুলায়ম ও মায়াবতীর কাছ থেকে সমর্থন আদায় করে চলেছে কংগ্রেস। এই ভাবে জোট শরিকদের নিয়ে সরকার চলে না। অথচ বাজপেয়ীর আমলে ২৩টি দল সরকারের শরিক ছিল। আসলে বিজেপি জানে, কী ভাবে শরিকদের সম্মান করতে হয়। আমাদের উচিত বাজপেয়ীর পদাঙ্ক অনুসরণ করা।”
কিন্তু বিজেপি যতই বাজপেয়ীর উপর ভর করে ঐক্যের ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করুক না কেন, দলের অন্দরে কোন্দল কী ভাবে রোখা সম্ভব হবে, সেই রাস্তা জানা নেই কারও। প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়েও রয়েছে তীব্র মতপার্থক্য। আগামিকাল মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব উড়ে যাচ্ছেন গুজরাতে। সন্দেহ নেই শপথের মঞ্চকে ব্যবহার করে দলের একতার ছবিটি তুলে ধরতে কোনও কসুর করবে না বিজেপি। কিন্তু তাতে কী প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী বাছাই-সহ দলের হাজারো সমস্যার সমাধান হবে? জানেন না দলের শীর্ষ নেতারাও। |
|
|
|
|
|