|
|
|
|
আগ্রহ শেয়ার বাজার নিয়ে পাঠে |
কয়েদিকে নিখরচায় নথি জোগাতে নির্দেশ |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
জেলে বসেই শেয়ার বাজারের ‘সহজপাঠ’ পড়তে চেয়েছিলেন বিচারাধীন বন্দি। তা-ও আবার নিখরচায়। যুক্তি ছিল, টানা তিন বছর জেলে থাকায় রোজগার শূন্য। তাই দারিদ্রসীমার নীচে থাকা ব্যক্তি হিসেবে বাজার সম্পর্কে চেয়ে পাঠানো যাবতীয় তথ্য ও নথি বিনা পয়সায় হাতে চান তিনি। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে রাম পটেল নামে ওই বন্দিকে তা দেওয়ার নির্দেশ দিল সেবি-র আপিল ট্রাইব্যুনাল। বিচারাধীন কোনও বন্দির জন্য এ ধরনের নির্দেশ এই প্রথম দিল তারা।
শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-কে দেওয়া নির্দেশে আপিল আদালতের যুক্তি, পটেল বর্তমানে বিচারাধীন এবং দীর্ঘ দিন হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। ফলে সেই হিসেবে, তিনি এমনিতেই দারিদ্রসীমার নীচে রয়েছেন বলে গণ্য হবেন। তাই তথ্যের অধিকার আইন (রাইট টু ইনফর্মেশন অ্যাক্ট) মেনে বিনা পয়সাতেই শেয়ার বাজার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও নথিপত্র তাঁর হাতে পৌঁছে দিতে হবে সেবি-কে। অন্যান্য আদালতেও যে আয়ের প্রমাণ ছাড়া জেলবন্দিদের সরাসরি এ ভাবে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়, সেই উদাহরণও তুলে ধরেছেন আপিল কর্তৃপক্ষ।
গত ১৫ অক্টোবর তথ্যের অধিকার আইনের বলে শেয়ার বাজার ও সেখানে নথিবদ্ধ সংস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়ে সেবি-র কাছে আবেদন জানান পটেল। তাঁর জানতে চাওয়া বিষয়গুলির মধ্যে ছিল দেশের সমস্ত শেয়ার বাজারের নাম, পরিচালন পদ্ধতি, নির্দেশিকা, নীতি, নিয়ম-কানুন, সেগুলির ব্যবসার পরিমাণ, সব ব্রোকারেজ সংস্থার নাম ইত্যাদি। বিশেষত ছোট ও মাঝারি সংস্থার শেয়ার বাজার (এসএমই এক্সচেঞ্জ), তাদের নিয়ম-নীতি, নির্দেশিকা ইত্যাদি বিষয়ে আলাদা করে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। তা ছাড়া, ব্যাঙ্কিং ও ফিনান্স বিষয়ে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)-এর স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের সব বই-পত্তরও চেয়েছিলেন ওই বন্দি।
পটেলের দাবি ছিল, ৩৬ মাস ধরে তিনি বিচারাধীন এবং জেলে বন্দি। ফলে এই দীর্ঘ সময় তাঁর কোনও আয় নেই। তাই দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষ হিসেবে সমস্ত তথ্য ও নথি বিনা পয়সায় দেওয়া হোক তাঁকে। কিন্তু উত্তরে ৩১ অক্টোবর সেবি দারিদ্রসীমার নীচে থাকার প্রমাণ জমা দিতে বলে পটেলকে।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১৪ নভেম্বর ফের সেবি-র আপিল ট্রাইবুনালে আর্জি জানান পটেল। ঠিকানা হিসেবে হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল জেলেরই নাম লেখেন। এর পরেই তথ্য-নথি জোগানোর এই নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। |
|
|
|
|
|